আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল ও পাকতিকা প্রদেশে পাকিস্তানের বিমান হামলার প্রতিক্রিয়ায় দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ায় সন্ত্রাসী সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) একদিনে একাধিক ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে।
শুক্রবার এবং শনিবার ভোরের এসব হামলায় তিন বেসামরিক নাগরিকসহ মোট ২৩ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৮ জন প্যারামিলিটারি ও পুলিশ সদস্য।
শনিবার সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে টিটিপি এসব হামলার দায় স্বীকার করেছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পুলিশ প্রশিক্ষণকেন্দ্রে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে দু’তরফের লড়াই চলে, যেখানে অন্তত সাত জন পুলিশ এবং ছয় জন হামলাকারী নিহত হয়েছেন। টিটিপির এক সন্ত্রাসী বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে ট্রেনিং স্কুলের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে বিস্ফোরণ ঘটায়, এরপর সেখানে গোলাগুলি শুরু হয়। এছাড়া, বাজাপুর বিভাগে আলাদা আরেক হামলায় তিন বেসামরিকসহ পাঁচজন নিহত হন।
টিটিপির এই সিরিজ হামলা এমন এক সময়ে এলো, যখন এর ঠিক আগের রাতে (বৃহস্পতিবার) পাকিস্তানের বিমানবাহিনী টিটিপি প্রধান নেতাকে লক্ষ্য করে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে হামলা চালায় বলে খবর প্রকাশিত হয়। গত এক সপ্তাহের মধ্যে টিটিপির হামলায় পাকিস্তানে ৩২ জন সেনা ও তিন জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য ২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে টিটিপির সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে তালেবান সরকার টিটিপির সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছে, যদিও তালেবান এই দাবি অস্বীকার করে। টিটিপির এই প্রতিশোধমূলক হামলা এবং পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে চলমান উত্তেজনা এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন:








