চাকরি হারানোর ভয়ে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ায় এক নবজাতককে পাথরের নিচে ফেলে আসার ঘটনা ঘটেছে। গ্রামবাসীর তৎপর দৃষ্টি এবং সময়মতো উদ্ধার শিশুটিকে প্রাণদায়ক চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে।খবর এনডিটিভির।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, বাবলু দান্ডোলিয়া ও রাজকুমারী দান্ডোলিয়া দম্পতির চতুর্থ সন্তানকে জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জঙ্গলে ফেলে পাথরের নিচে রাখেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে চাকরি হারানোর আশঙ্কা ছিল। বাবলু একজন সরকারি শিক্ষক।
ভোরে নন্দনওয়াড়ি গ্রামের মানুষ শিশুর কান্নার শব্দ শুনে পাথর সরিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। শিশুটি রক্তাক্ত এবং শীতে কাঁপছিল। চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরে পিঁপড়ের কামড়ের দাগ ছিল এবং হাইপোথারমিয়ায় ভুগছিল। চিকিৎসকদের মতে, এই অবস্থায় শিশুটির বেঁচে থাকা অলৌকিকের চেয়ে কম নয়। বর্তমানে শিশুটি নিরাপদ এবং চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
পুলিশ এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৯৩ ধারায় মামলা করেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী ১০৯ ধারার মতো আরও গুরুতর ধারাও যুক্ত হতে পারে।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ভারতে নবজাতক পরিত্যাগের ঘটনা সবচেয়ে বেশি মধ্যপ্রদেশে ঘটে। দারিদ্র্য, সামাজিক কলঙ্ক এবং চাকরি সংক্রান্ত ভয়ই এর মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:








