জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস অভিযোগ করেছেন, গাজায় ইসরায়েলের চলমান এই যুদ্ধ কার্যক্রম আসলে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ।
তিনি বলেন, অবৈধ বসতি স্থাপনের কারণে ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
৮৯ বছর বয়সী আব্বাস বৃহস্পতিবার ভিডিও লিংকের মাধ্যমে সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেন। যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা না দেয়ায় তিনি নিউইয়র্কে এই অধিবেশনে সরাসরি অংশ নিতে পারেননি। তিনি বলেন, ইসরায়েল ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
তার ভাষায়, ‘প্রায় দুই বছর ধরে গাজায় আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণ গণহত্যা, ধ্বংস, ক্ষুধা ও বাস্তুচ্যুতির মুখোমুখি হয়ে চলেছে।’
প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘ইসরায়েলের যা চলছে, তা শুধু আগ্রাসন নয়। এটি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ, যা প্রমাণিত এবং নথিভুক্ত, ইতিহাসে মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহ অধ্যায় হিসেবে লিপিবদ্ধ হবে।’
মঙ্গলবার জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল গত দুই বছরে গাজায় পদ্ধতিগতভাবে বেসামরিক জীবন ধ্বংস করেছে। কূপ, পয়ঃনিষ্কাশন ও পানি শোধনাগার ধ্বংসের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও কবরস্থানও গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
এর আগে জাতিসংঘের আরেক তদন্তে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যুদ্ধ শুরুর প্রায় দুই বছর পর এটিকে একটি যুগান্তকারী ঘোষণা হিসেবে দেখা হচ্ছে। শুধু বুধবারই গাজায় অন্তত ৮৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:








