সোমবার

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যেই জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১০:১৩

শেয়ার

বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যেই জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন ট্রাম্প
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন। এ সফরে তার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠকের জল্পনা তৈরি হয়েছে।

সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজু শহরে অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠেয় এপেক বাণিজ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে ট্রাম্পের অংশগ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। সম্মেলনের ফাঁকে শি জিনপিং ও ট্রাম্পের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সম্ভাবনা থাকলেও এখনো তা চূড়ান্ত হয়নি।

এর আগে, শি জিনপিং এক ফোনালাপে ট্রাম্প ও তার স্ত্রীকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং পাল্টা আমন্ত্রণ জানান ট্রাম্পও।

হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা জানান, সফরের মূল লক্ষ্য হবে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ও বেসামরিক পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনা। এ সফরের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন বিনিয়োগ আনার প্রচেষ্টাও চালানো হবে, যা ট্রাম্পের সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক সফরগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জায়ে মিয়ং আশা প্রকাশ করেছেন যে, এ সম্মেলন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনার পথও খুলে দিতে পারে।

ট্রাম্প নিজেও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কিমের সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, 'কিম আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়, আমরাও তাকে দেখার অপেক্ষায় আছি এবং সম্পর্ক আরও ভালো করবো।'

তবে এই সম্ভাব্য বৈঠকগুলো এমন এক সময়ে হতে যাচ্ছে, যখন ট্রাম্পের সঙ্গে চীনের ও উত্তর কোরিয়ার নেতাদের সম্পর্ক কিছুটা টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি বেইজিংয়ে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে কিম, পুতিন এবং মোদির অংশগ্রহণ নিয়ে ট্রাম্প প্রকাশ্যে সমালোচনা করেন।

ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে লিখেছিলেন, 'যখন আপনারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, তখন আমার শুভেচ্ছা পৌঁছে দিন।'

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটেও এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্পের প্রশাসন চীনা পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছিল, যার পাল্টা জবাব দিয়েছিল বেইজিং।

তবে আলোচনা এগিয়ে নিতে সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্প শুল্কহার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত রেখেছেন, যা এই সম্মেলনের আগে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত করতে পারে।

সফরের সফল বাস্তবায়ন হলে এটি হতে পারে ট্রাম্প, শি ও কিমের মধ্যকার সম্পর্ক পুনর্গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।



banner close
banner close