যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। মূলত এইচ-১বি ভিসা এবং গ্রিনকার্ড নীতিতে এ পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক।
মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে লুটনিক বলেন, ‘বর্তমান এইচ-১বি ভিসা পদ্ধতি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীদের প্রতি অবিচার করছে, কারণ এটি বিদেশি কর্মীদের বেশি সুবিধা দিচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় প্রতিষ্ঠান এতদিন বিদেশি কর্মী নিয়োগ করে এসেছে। এখন সময় এসেছে মার্কিন নাগরিকদের অগ্রাধিকার দেয়ার।’
একইদিন ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে লুটনিক বলেন, ‘বর্তমান এইচ-১বি ভিসা পদ্ধতি বাতিল করে উচ্চ মজুরিপ্রাপ্ত আবেদনকারীদের প্রাধান্য দেয়া হবে। অর্থাৎ লটারি-ভিত্তিক ভিসা ব্যবস্থার পরিবর্তে মজুরি-ভিত্তিক একটি নতুন নীতিমালা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
তিনি জানান, ‘এইচ-১বি ভিসাকে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘সোনার কার্ড’-এর মতো করে গড়ে তুলতে চাই, যেখানে বিশ্বের সেরা এবং সবচেয়ে মেধাবী ব্যক্তিরা সুযোগ পাবেন।’
গ্রিনকার্ড পদ্ধতিতেও আসছে পরিবর্তন। বর্তমানে একজন মার্কিন নাগরিকের বার্ষিক গড় আয় প্রায় ৭৫ হাজার ডলার, যেখানে গ্রিনকার্ডধারী বিদেশি কর্মীদের গড় আয় ৬৬ হাজার ডলার। এই ব্যবধান কমাতেই নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান আইনে, গ্রিনকার্ড পেতে হলে সাধারণত আবেদনকারীকে এইচ-১বি ভিসাধারী হতে হয়। তাই এই নীতিগত পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে ভারতীয় অভিবাসীদের ওপর, যাদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই বর্তমানে এইচ-১বি ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ নির্বাচনি রাজনীতিকে সামনে রেখে অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থান জোরদার ও বিদেশি কর্মীদের প্রবেশ সীমিত করার উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:








