যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর পেন্টাগন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভেতরে হামলায় মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার না করার কঠোর নির্দেশ দিয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে হামলার জন্য একাধিকবার দূরপাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি চাইলেও প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যান করেছে মার্কিন সামরিক নেতৃত্ব।
২০২৪ সালের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে যে দূরপাল্লার এটিএ সিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছিলো, তা ব্যবহারে আগে থেকেই মার্কিন অনুমতির বাধ্যবাধকতা ছিলো। গত কয়েক মাসে ইউক্রেন সেই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালাতে চাইলে প্রতিবারই প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ও সামরিক কমান্ড তা নাকচ করে।
বিশ্লেষকদের মতে, নতুন করে ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত যুদ্ধ পরিস্থিতিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। ট্রাম্প নিজে যুদ্ধ নিরসনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত বন্ধ করাকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এ কারণেই ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার অনুমতি না দিয়ে যুদ্ধাবসানের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে চাইছেন তিনি।
এরই মধ্যে শান্তি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে চলতি বছরের মে মাস থেকে ইস্তাম্বুলে রাশিয়া-ইউক্রেন সরকারের প্রতিনিধিরা তুরস্কের মধ্যস্থতায় আলোচনায় বসেছেন। পাশাপাশি ১৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যেও এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন দিন পরই ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এই আলোচনার প্রেক্ষিতে ট্রাম্প আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে কয়েক লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তবে এবার শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশার আলো দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন:








