ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে একের পর এক ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ৯ জন ছিলেন খাদ্যসাহায্য নিতে আসা মানুষ।
একই সঙ্গে অনাহারে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বেশ কয়েকটি চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে এক ড্রোন হামলায় একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
মধ্য গাজার সালাহউদ্দিন সড়কে খাদ্যসাহায্য বিতরণকেন্দ্রের কাছে অপেক্ষমাণ সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী গোলাবর্ষণ করলে আরও পাঁচজন নিহত হন। নেজারিম করিডোরের কাছে সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা এক ব্যক্তিও প্রাণ হারান।
গাজার আল-তুফাহ এলাকায় আল-জারকা অঞ্চলে একদল বাসিন্দাকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলায় দুইজন নিহত ও বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। একই দিনে গাজার সাবরা এলাকায় ড্রোন হামলায় চারজন নিহত হন। ওই এলাকার আরেকটি বাড়িতে হামলায় শিশুরাসহ আটজন প্রাণ হারান।
শহরের উত্তর-পশ্চিমের আল-শান্তি এলাকায় এক পরিবারের বাড়িতে হামলায় আরও চারজন নিহত হন। উত্তর গাজার জাবালিয়ায় ড্রোন হামলায় চারজন নিহত হন এবং গাজার সাবরা এলাকার আল-ইস্তিজাবা মসজিদের কাছে বিমান হামলায় তিনজনের মৃত্যু হয়।
জাবালিয়ার আল-নাজলা এলাকায় সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে আরেক ড্রোন হামলায় আরও দু’জন নিহত হয়েছেন।
গাজার শেখ রাদওয়ান এলাকায় একটি অ্যাপার্টমেন্টে হামলায় একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। একই এলাকায় বারাকা শেখ রাদওয়ান অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত মানুষের একটি তাবুতে গোলাবর্ষণে এক শিশুর মৃত্যু হয় এবং তার মা আহত হন।
দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে খাদ্যসাহায্যের অপেক্ষায় থাকা মানুষের ওপর বোমা বর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে আরও তিনজন নিহত ও অনেকে আহত হন বলে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
মধ্য গাজার ওয়াদি গাজা এলাকায় সাহায্যের জন্য অপেক্ষায় থাকা মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি সেনারা সাতজনকে হত্যা ও অন্তত ১৮ জনকে আহত করেছে। গাজার সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা গাজার সাবরা ও জাইতুন এলাকায় ধ্বংসযজ্ঞ ও গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন:








