ইসরাইলের সাথে ১২ দিনের যুদ্ধ শেষে আবারও কঠোর বার্তা দিয়েছে ইরান। তেহরান স্পষ্ট জানাচ্ছে—তাদের আসল ক্ষেপণাস্ত্র এখনো প্রকাশ করা হয়নি। অর্থাৎ সাম্প্রতিক সংঘর্ষে যে মিসাইল ও ড্রোন ব্যবহার হয়েছে, তা ছিল বহু বছর আগের তৈরি। অথচ সেগুলো দিয়েই ইসরাইলি আয়রনডোমকে অকার্যকর করে তুলেছিল ইরানের বাহিনী।
সাম্প্রতিক যুদ্ধে ফাত্তা, খাইবার শেখান ও হাজ কাসেমের মতো মিসাইল দখলদারদের ভীত-সন্ত্রস্ত করে তুলেছিল। এবার ইরান ঘোষণা দিয়েছে—নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র শত্রুদের জন্য আরও বড় দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠবে।
ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদে বলেছেন, প্রতিরক্ষা শিল্প ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে তিনি রহস্য রেখে বলেছেন, “আমরা এমন অস্ত্র তৈরি করেছি, যা এখনো ব্যবহার করা হয়নি। শত্রুপক্ষ ভবিষ্যতে আগ্রাসন চালালে সেসব ক্ষেপণাস্ত্রই হবে আমাদের জবাব।”
আল-মায়াদিন জানিয়েছে, ইরান যে মিসাইলগুলো ব্যবহার করেছে তা বহু বছর আগের। অথচ সেগুলো দিয়েই শত্রুকে চূর্ণ করেছে তেহরান। একইসঙ্গে নতুন ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে বলা হচ্ছে “প্রজন্মের সবচেয়ে কার্যকরী”, তবে সেগুলোর বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করেনি ইরান।
ইসরাইল-আমেরিকার যৌথ সমর্থন নিয়েও ইরানকে রুখতে পারেনি তেলআবিব। প্রতিরোধে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেও কার্যকর কিছু করতে পারেনি ইসরাইল। বরং অধিকৃত ভূখণ্ডে আছড়ে পড়েছে একের পর এক ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র।
বিশ্লেষকদের মতে, যদি ইরান সত্যিই এর চেয়েও শক্তিশালী মিসাইল তৈরি করে থাকে, তবে তা শুধু আঞ্চলিক নয়, আন্তর্জাতিক শক্তির ভারসাম্যকেও প্রভাবিত করবে। মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধক্ষেত্রে তখন একচ্ছত্র আধিপত্য করবে আয়াতুল্লাহ খামেনীর বাহিনী।
আরও পড়ুন:








