জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, যেসব দেশ ইসরায়েলের ওপর যথাযথ চাপ সৃষ্টি করছে না, তারাও গাজায় চলমান হত্যাকাণ্ডে পরোক্ষভাবে সহযোগী হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই মন্তব্য উঠে এসেছে।
নিউইয়র্কে আসন্ন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা বিষয়ক সম্মেলন উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় তুর্ক বলেন, “গাজা ও পশ্চিম তীরে আমরা এক ভয়াবহ, হৃদয়বিদারক এবং অবর্ণনীয় মানবিক বিপর্যয়ের সাক্ষী হচ্ছি। এই সম্মেলন বিশ্ব নেতাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। আমি সব দেশের সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন গাজায় অব্যাহত হত্যাযজ্ঞ থামাতে ইসরায়েলের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করে।”
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, যেসব দেশ তাদের ক্ষমতা প্রয়োগে ব্যর্থ হয়, তাদেরও আন্তর্জাতিক অপরাধে জড়িত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ সভাপতিত্বে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন সোমবার নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে এবং বুধবার পর্যন্ত চলবে।
এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ১০ ঘণ্টার ‘সাময়িক বিরতি’র ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু এই ঘোষণার মধ্যেও হামলা অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
রোববার স্থানীয় সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গাজার আল-মাওয়াসি, দেইর আল-বালাহ ও গাজা সিটিতে সামরিক অভিযান স্থগিত থাকবে। সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টার মধ্যে সহায়তা কনভয়ের জন্য নির্ধারিত করিডোরও খোলা রাখা হবে বলে জানানো হয়।
কিন্তু ‘মানবিক বিরতির’ প্রথম দিনেই তা বাস্তবে কার্যকর হয়নি। আল জাজিরার সাংবাদিক হিন্দ খোদারি জানিয়েছেন, দেইর আল-বালাহ থেকে গাজা সিটিতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। অথচ এই অঞ্চলকেই ইসরায়েল আগেই ‘নিরাপদ এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
এ দিন ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজাজুড়ে কমপক্ষে ৬৩ জন নিহত হয়েছেন বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:








