রাশিয়ার তথাকথিত ‘ছায়া নৌবহর’কে লক্ষ্য করে যুক্তরাজ্য নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সোমবার ঘোষিত এই পদক্ষেপে ১৩৫টি তেলবাহী ট্যাংকার এবং দুটি রুশ কোম্পানি—ইন্টারশিপিং সার্ভিসেস এলএলসি ও লিটাস্কো মিডল ইস্ট ডিএমসিসি—এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এই জাহাজগুলো রাশিয়ার জ্বালানি রপ্তানি কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং ২০২৪ সালের শুরু থেকে প্রায় ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য পরিবহন করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেন, “এই নিষেধাজ্ঞা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ছায়া নৌবহরকে বিচ্ছিন্ন করবে এবং রাশিয়ার যুদ্ধ অর্থায়নের মূল উৎস—তেলের রাজস্ব—হ্রাস করবে।”
ব্রিটিশ সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ইন্টারশিপিং সার্ভিসেস এলএলসি গ্যাবনের পতাকার অধীনে জাহাজ নিবন্ধনের মাধ্যমে রুশ রাষ্ট্রের পক্ষে বছরে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য পরিবহন করে থাকে। অপরদিকে, লিটাস্কো মিডল ইস্ট ডিএমসিসি রাশিয়ার তেল পরিবহনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সক্রিয় রয়েছে।
লন্ডনে অবস্থিত রুশ দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য জানায়নি। তবে মস্কো অতীতেও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, এসব পদক্ষেপ বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।
এর আগে, গত শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ১৮তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদন করেছে, যাতে রাশিয়ার জ্বালানি খাতকে লক্ষ্য করে আরও কঠোর পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য একযোগে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের মূল্যসীমা ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলার থেকে কমিয়ে ৪৭.৬০ ডলার করার পরিকল্পনা নিয়েছে, যার ফলে মস্কোর তেল-আয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স
আরও পড়ুন:








