মঙ্গলবার

১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০ পৌষ, ১৪৩২

ফেইথিয়ান টু: চীনের হাইপারসনিক মিসাইল পরীক্ষায় উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১ জুলাই, ২০২৫ ২১:৫২

শেয়ার

ফেইথিয়ান টু: চীনের হাইপারসনিক মিসাইল পরীক্ষায় উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্র
ছবি সংগৃহীত

চীন ‘ফেইথিয়ান টু’ নামের একটি উন্নত হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। ঘন্টায় ১৪,৮০০ কিলোমিটার গতিসম্পন্ন এই মিসাইল শব্দের গতির তুলনায় প্রায় ১২ গুণ দ্রুতগামী। এর ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে বলেই মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণকৃত এই ক্ষেপণাস্ত্রে রকেট ও র‍্যামজেট—দুই ধরনের ইঞ্জিন একত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। এতে এমন প্রযুক্তির প্রয়োগ হয়েছে, যা চলন্ত অবস্থায় রকেট থেকে র‍্যামজেট ইঞ্জিনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রূপান্তর ঘটাতে সক্ষম। চীনের দাবি অনুযায়ী, এটি বিশ্বের প্রথম সফল বাস্তবায়ন, যেখানে এ ধরনের ইঞ্জিন-রূপান্তর প্রযুক্তি কার্যকরভাবে কাজ করেছে।

প্রযুক্তিগত দিক থেকে বিষয়টি জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ উচ্চগতির চলাচলকালে তৈরি হওয়া তীব্র তাপ ও চাপ সহ্য করে এই রূপান্তর ঘটানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। চীনা গবেষকদের মতে, ফেইথিয়ান টু এ পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে, যা তাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার এক নতুন দিক উন্মোচন করেছে।

হাইপারসনিক অস্ত্র সাধারণত নিচু উচ্চতায় উড়ে এবং অনির্ধারিত পথে চলাচল করে, যা রাডারে শনাক্ত করা এবং প্রতিরোধ করা কঠিন করে তোলে। মার্কিন কংগ্রেশনাল বাজেট অফিস ২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে জানায়, হাইপারসনিক মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়িয়ে লক্ষ্যবস্তুর খুব কাছাকাছি গিয়ে আঘাত হানতে সক্ষম।

চীনের এই অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রের নজরে এসেছে। দেশটি ইতোমধ্যেই হাইপারসনিক প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ২৭টি চীনা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে মার্কিন AI ও অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং সরবরাহকারীদের সঙ্গে ব্যবসা করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ফেইথিয়ান টু কেবল চীনের সামরিক ক্ষমতার বিবর্তন নয়, বরং বিশ্ব নিরাপত্তা কাঠামোতেও একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। এ প্রযুক্তি বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্যে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।



banner close
banner close