মঙ্গলবার

১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০ পৌষ, ১৪৩২

যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: মোদীর কাছে জবাব চান রাহুল

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০ জুলাই, ২০২৫ ১৪:৫৬

আপডেট: ২০ জুলাই, ২০২৫ ১৪:৫৭

শেয়ার

যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: মোদীর কাছে জবাব চান রাহুল
ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে পাঁচিটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়া নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের পর আবারো উত্তপ্ত হয় উঠেছে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গন। ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের দাবির ব্যাখ্যা চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে। কংগ্রেস চায়, প্রধানমন্ত্রীর উচিত জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করা।

সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে রাহুল লেখেন, ‘মোদী জি, পাঁচটি (জেট) সম্পর্কে সত্য কী? দেশের জানার অধিকার আছে।’ পাকিস্তানের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত কিন্তু তীব্র যুদ্ধ সরকারের মোকাবিলা নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে রাহুল শনিবার এই পোস্ট করেন। রবিবার পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় এ তথ্য।

এর আগে শুক্রবার রিপাবলিকান আইন প্রণেতাদের সাথে হোয়াইট হাউসের এক নৈশভোজে ট্রাম্প বলেন, ‘আসলে, আকাশ থেকে গুলি করা হচ্ছিল। তিনি মনে করেন, পাঁচটি জেট বিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। ট্রাম্প কোনো পক্ষের কয়টি বিমান ভূপাতিত হয়েছে তা নির্দিষ্ট করেননি।’

তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিতও জানাননি।

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর, ট্রাম্প বারবার ৬০ বারেরও যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতার জন্য কৃতিত্ব নিয়েছেন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ওয়াশিংটন দুপক্ষের সাথে যোগাযোগ রাখছিল। ওই সময় ট্রাম্প দাবি করেন, বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিয়ে তিনি দুপক্ষকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করিয়েছিলেন।

ট্রাম্পের এ দাবি নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কখনোই ট্রাম্পের এ দাবির বিরোধিতা করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ মোদীর কাছে জবাবদিহিতা দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত ৭০ দিন ধরে যা দাবি করে আসছেন সে ব্যাপারে মোদীকে পার্লামেন্টে ব্যাখ্যা দিতে হবে।’

গত ২২ এপ্রিল ভারত শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়। এদের বেশিরভাগই পুরুষ এবং হিন্দু। ভারত এই হামলার পেছনে পাকিস্তানভিত্তিক একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে। পাকিস্তান ওই অভিযোগ অস্বীকার করলেও ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে একের পর এক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে থাকে দিল্লি। এরই এক পর্যায়ে সিন্ধু পানি যুক্তি স্থগিত করে তারা।

এর পর মে মাসের শুরুর দিকে পাকিস্তানে বিমান হামলা চালায় ভারত। অপারেশন সিঁদুর নামে পরিচালিত তাদের এই হামলা খুব একটা সুবিধার হয়নি। পাকিস্তানের পাল্টা আঘাতে অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান হারায় ভারত। যার মধ্যে দুটি ছিল ফ্রান্সে নির্মিত অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান রাফায়েল।

ভারতের এই হামলার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ১০ মে পাকিস্তান অপারেশন বানিয়ান মারসুস শুরু করে। হামলা পাল্টা হামলার কারণে দুটি দেশই পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে যায়। এক পর্যায়ে এতে হস্তক্ষেপ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে একটি অস্ত্রবিরতি কার্যকরে তাদের রাজি করান। তবে অস্ত্রবিরতির শর্ত থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়, ভারত এই যুদ্ধে আগে হামলা চালালেও খুব একটি সুবিধা করতে পারেনি। তারা শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, কাশ্মীর সমস্যা ভারত-পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটি নিয়ে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ তারা মেনে নেবে না। তবে এবারের যুদ্ধবিরতি অনুসারে, তারা তৃতীয় একটি দেশের মধ্যস্থতায় কোনো নিরপেক্ষ স্থানে কাশ্মীর ইস্যুতে আলোচনায় রাজি হয়।



banner close
banner close