সোমবার

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান দাবি ট্রাম্পের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ জুলাই, ২০২৫ ২৩:১১

আপডেট: ১৯ জুলাই, ২০২৫ ২৩:১৩

শেয়ার

ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান দাবি ট্রাম্পের
ছবি সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া সাম্প্রতিক সংঘাতে পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয় বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এপ্রিলে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে জঙ্গীদের হামলার প্রতিক্রিয়ায় নয়াদিল্লি পাকিস্তানে ‘জঙ্গি আস্তানায় হামলা চালালে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘাত বাধে।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অস্ত্রবিরতির পেছনে ট্রাম্প শুরু থেকেই কৃতিত্ব দাবি করে আসছেন। যদিও ভারত বলছে, তৃতীয় কোনো পক্ষের মধ্যস্থতায় নয়, ভারত-পাকিস্তান নিজেদের আলোচনার ভিত্তিতেই ওই অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউজে শুক্রবার রিপাবলিকান কয়েকজন আইনপ্রণেতার সঙ্গে ডিনারে ট্রাম্প দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘাতে পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার বিষয় তিনি নিশ্চিত করেছেন। তবে এর মধ্যে কোন পক্ষের কয়টি বিমান, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।

ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, বিমানগুলোকে আকাশেই গুলি করা হয়েছিল। পাঁচটি, পাঁচটি, চার কি পাঁচটি, তবে তিনি মনে করেন, প্রকৃতপক্ষে পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়।

মে মাসের শুরুর দিকে পাকিস্তানে বিমান হামলা চালায় ভারত। অপারেশন সিঁদুর নামে পরিচালিত তাদের এই হামলা খুব একটা সুবিধার হয়নি। পাকিস্তানের পাল্টা আঘাতে অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান হারায় ভারত। যার মধ্যে দুটি ছিল ফ্রান্সে নির্মিত অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান রাফায়েল।

ভারতের এই হামলার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ১০ মে পাকিস্তান অপারেশন বানিয়ান মারসুস শুরু করে। হামলা পাল্টা হামলার কারণে দুটি দেশই পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে যায়।

এক পর্যায়ে এতে হস্তক্ষেপ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে একটি অস্ত্রবিরতি কার্যকরে তাদের রাজি করান। তবে অস্ত্রবিরতির শর্ত থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়, ভারত এই যুদ্ধে আগে হামলা চালালেও খুব একটি সুবিধা করতে পারেনি। তারা শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, কাশ্মীর সমস্যা ভারত-পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটি নিয়ে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ তারা মেনে নেবে না। তবে এবারের যুদ্ধবিরতি অনুসারে, তারা তৃতীয় একটি দেশের মধ্যস্থতায় কোনো নিরপেক্ষ স্থানে কাশ্মীর ইস্যুতে আলোচনায় রাজি হয়।



banner close
banner close