সোমবার

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

ইসরায়েলের দিক থেকে মুখ ফেরাচ্ছে বিশ্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ জুলাই, ২০২৫ ১৮:২৬

আপডেট: ১৯ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৩০

শেয়ার

ইসরায়েলের দিক থেকে মুখ ফেরাচ্ছে বিশ্ব
ছবি সংগৃহীত

গাজা যুদ্ধ নিয়ে ক্রমেই ইসরায়েলবিরুদ্ধ হয়ে উঠছে আন্তর্জাতিক জনমত। সরকারগুলোও ধীরে হলেও তাদের কণ্ঠ মেলাচ্ছে তাদের জনগণের সঙ্গে। গত কয়েক সপ্তাহে বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ ইসরায়েল সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যুক্তরাজ্য-ফ্রান্স-কানাডা এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় মানুষের দুর্দশা সহ্য করার মতো না।

এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে দ্য হেগ গ্রুপও অধিকৃত এই ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরায়েলের আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানায়। বৃহস্পতিবার গাজার একমাত্র ক্যাথলিক গির্জায় হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলার পর থেকে বিশ্বজনমত নতুন করে ইসরায়েলের সমালোচনা শুরু করে। তাহলে কি এবার আশা করা যায়, বিশ্ব শক্তিগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একাট্টা হবে?

৮ রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত বৈশ্বিক গ্রুপ দ্য হেগ ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর জন্য আইনগত ও কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে দ্য হেগ গ্রুপ কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটায় ৩০টি দেশ নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে উপস্থিত জাতিসংঘের স্পেশাল র্যা পোর্টার ফ্রান্সেসকা আলবানিজ সম্মেলনটিকে গত ২০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেন। ইসরায়েলের সমালোচনার কারণে আলবানিজের ওপর সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বুধবার স্লোভানিয়া ইসরায়েলের দুজন মন্ত্রীকে তাদের দেশে প্রবেশ করতে দেয়নি। ইসরায়েল বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সমন্বিতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হওয়ার পর এ পদক্ষেপ নিল তারা।

গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও কানাডা এক যৌথ বিবৃতিতে গাজায় ইসরায়েলি হামলা বাড়ানোকে পুরোপরি অগ্রহণযোগ্য এবং হামলা বন্ধ না হলে ইরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দেয়। ওই মাসের শেষ দিকে যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। তাদের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য আলোচনাও বন্ধ করে দেয়।

ওই মাসেই ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয় তুরস্ক। দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা করেছে। তাদের সমর্থন করছে কলম্বিয়া, চিলি, স্পেন ও তুরস্ক।

তবে ইসরায়েল সাম্প্রতিক সময়ে সবয়েছে বড় ধাক্কাটি খেয়েছে গির্জায় হামলা চালানোর পর। হামলার পর পরই ক্ষব্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ফোন করেন। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও ঘটনার পর তড়িঘড়ি করে দুঃখ প্রকাশ করে।

তবে আদতে এসব সমর্থন বা সমালোচনা দিয়ে কি ইসরায়েলি তৎপরতাকে থামানো সম্ভব? এর জবাব সম্ভবত নেতিবাচকই হবে। আন্তর্জাতিকভাবে এবং ইসরায়েলের ভেতরেও এর জনপ্রিয়তা ক্রমেই কমছে। তবে তাদের সবচেয়ে বড় সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাদের পাশেই আছে। কাজেই নেতানিয়াহুকে সম্ভবত খুব শিগগিরই থামানো যাবে না।



banner close
banner close