ফ্রান্সের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মার্সেইয়ের ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৯৩ একর এলাকা পুড়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আহত হয়েছেন দুইজন দমকলকর্মী।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) পরিস্থিতি সামাল দিতে হাজারের বেশি দমকলকর্মী এবং একাধিক হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। আগুনের তীব্রতা কিছুটা কমলেও এখনও আশঙ্কা কাটেনি। খবর রয়টার্সের।
এর আগে, এক সপ্তাহ আগেই মার্সেই শহরের উপকণ্ঠে ছড়িয়ে পড়া আরেকটি দাবানলে বহু মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সাময়িকভাবে বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।
দাবানলের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আঞ্চলিক দমকল বাহিনীর উপপরিচালক কর্নেল পিয়ের বেপোয়া জানান, ইতোমধ্যে ১৫০ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে, এবং দমকল বাহিনী দেড় শতাধিক বসতবাড়ি ও বনাঞ্চলের কিছু অংশ রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, “ঘন উদ্ভিদে ঢাকা এলাকা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যা আমাদের কাজকে কঠিন করে তোলে। তবুও আমরা মানুষের জীবন এবং সম্পদ রক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি।”
স্থানীয় প্রশাসনের তথ্যমতে, ১২০টি বাড়ি সরাসরি হুমকির মুখে রয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির সুনির্দিষ্ট পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে, স্পেনের কেন্দ্রীয় টলেডো প্রদেশে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া দাবানলে অন্তত ৩ হাজার ২০০ হেক্টর বনভূমি পুড়ে গেছে। আগুনের ধোঁয়া এতটাই তীব্র ছিল যে তা রাজধানী মাদ্রিদ থেকেও দেখা গেছে।
স্প্যানিশ জরুরি পরিষেবা সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে দাবানল আক্রান্ত এলাকাগুলো ঘিরে ফেলা সম্ভব হলেও তীব্র বাতাস ও অতিরিক্ত তাপমাত্রার পূর্বাভাসে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত খরা ও তাপপ্রবাহের কারণে ফ্রান্স ও স্পেনসহ ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোতে গ্রীষ্মকালে দাবানলের ঝুঁকি বাড়ছে। এই অবস্থায়, ইউরোপজুড়ে অগ্নি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
আরও পড়ুন:








