মিয়ানমারের ম্যাগওয়ে অঞ্চলের ইয়েসাগিও টাউনশিপে জান্তা বাহিনীর সাম্প্রতিক হামলায় অন্তত পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন সদ্য বিবাহিত এক প্রতিরোধযোদ্ধা ও তার স্ত্রী, একজন কিশোর, একজন নারী শিক্ষক এবং এক তরুণী।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ইয়েসাগিও শহরের দক্ষিণে মাউক কা লান গ্রামে প্যারামোটর থেকে একটি স্কুলে বোমা নিক্ষেপ করে জান্তা বাহিনী। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হয় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর। আহত হন ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী ও ২৪ বছর বয়সী এক যুবক।
প্রতিরোধ বাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, হামলার সময় ওই এলাকায় কোনো সংঘর্ষ চলছিল না। সেনাবাহিনী ধারণা করেছিল, স্কুলটি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে প্রতিরোধ দল নিশ্চিত করে জানায়, বোমা হামলার সময় স্কুলটিতে কোনো যোদ্ধা ছিল না।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে ইয়েসাগিও শহরের দক্ষিণাঞ্চলীয় কান বেইত গ্রামে জান্তা বাহিনীর গোলাবর্ষণে আরও চারজন নিহত হন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুটি গোলা নিক্ষেপ করা হয়—একটি মঠের পাশের একটি বাড়িতে এবং অপরটি উদ্ধারকারীদের ওপর বিস্ফোরিত হয়।
নিহতদের মধ্যে ছিলেন ৩২ বছর বয়সী নারী শিক্ষক, ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর, ২০ বছর বয়সী এক প্রতিরোধ যোদ্ধা ও তার ২৪ বছর বয়সী সদ্য বিবাহিত স্ত্রী। আহত হয়েছেন আরও অন্তত চারজন।
স্থানীয়রা জানান, ইয়েসাগিও শহরের কেন্দ্রে তিনটি সেনা ব্যাটালিয়নের ঘাঁটি থাকলেও শহরের অধিকাংশ গ্রাম বর্তমানে প্রতিরোধ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জুলাইয়ের শুরুতে এই প্রতিরোধ বাহিনী জান্তার রসদবাহী একটি কনভয়ের ওপর মাইন হামলা চালিয়ে খাদ্যদ্রব্য জব্দ করে।
মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধে বেসামরিক মানুষের হতাহত ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
সূত্র: মিয়ানমার নাউ
আরও পড়ুন:








