ভারতের আহমেদাবাদে গত ১২ জুন বিধ্বস্ত হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের দুর্ঘটনার পেছনে পাইলটের সিদ্ধান্তই দায়ী হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিমানের ক্যাপ্টেন নিজেই জ্বালানির সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড্ডয়নের ঠিক পরপরই ককপিটে থাকা ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্ডার বিস্ময় প্রকাশ করে ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়ালের কাছে জানতে চান, কেন তিনি জ্বালানি কাট-অফ সুইচ বন্ধ করেছেন। এ ঘটনায় ফার্স্ট অফিসার উদ্বিগ্ন হলেও ক্যাপ্টেন ছিলেন শান্ত। দু’জনের অভিজ্ঞতা যথাক্রমে ১৫ হাজার ৬৩৮ ও ৩ হাজার ৪০৩ ঘণ্টা।
ভারতের এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর (এএআইবি) প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, উড্ডয়নের মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দুটি ইঞ্জিনের জ্বালানি কন্ট্রোল সুইচ বন্ধ হয়ে যায়। বিমানের ইঞ্জিন পুনরায় চালু করার চেষ্টা চালানো হলেও তাতে ব্যর্থ হয় স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। উড্ডয়ন থেকে ক্র্যাশ পর্যন্ত সময় ছিল মাত্র ৩২ সেকেন্ড। এতে প্রাণ হারান ২৬০ যাত্রী।
এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) এবং বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং নিজেদের মধ্যে একটি নিরাপত্তা বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তারা জানায়, বোয়িংয়ের তৈরি উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জ্বালানি সুইচে কোনো কারিগরি ত্রুটি নেই এবং সুইচের লকিং ব্যবস্থা নিরাপদ। রয়টার্স এ সংক্রান্ত একটি নথি দেখেছে এবং বিষয়টি সম্পর্কে অবগত চারটি সূত্রও তা নিশ্চিত করেছে।
রয়টার্স ভারতের এএআইবি, বেসামরিক বিমান চলাচল মহাপরিদপ্তর, সিভিল অ্যাভিয়েশন মন্ত্রণালয়, এয়ার ইন্ডিয়া এবং সংশ্লিষ্ট পাইলট ইউনিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে কারও কাছ থেকে মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে বোয়িংও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
বিমান দুর্ঘটনাটি ঘিরে পাইলটের ভূমিকা নিয়ে এখন নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
আরও পড়ুন:








