মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ পুনরায় শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পর, বিষয়টি ‘ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ’ করছে রাশিয়া। বুধবার (১৬ জুলাই) ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক বিবৃতিতে জানান, ইউক্রেন যুদ্ধ ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা নিয়ে মস্কো সজাগ দৃষ্টি রাখছে।
পেসকভ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।” তবে তিনি জানান, ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপের কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই, প্রয়োজন হলে তা দ্রুত আয়োজন করা হতে পারে।
এর আগে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার প্রতি এখন পর্যন্ত তার সবচেয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি জানান, আগামী ৫০ দিনের মধ্যে (সেপ্টেম্বরের শুরুতে) পুতিনকে শান্তিচুক্তি গ্রহণ করতে হবে, না হলে রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ‘সেকেন্ডারি ট্যারিফ’ আরোপ করবে। এ ব্যবস্থায় রাশিয়ার বাণিজ্যিক অংশীদারদেরও লক্ষ্য করা হবে, যা দেশটিকে বিশ্ব অর্থনীতি থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে দেবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “পুতিন আমার সঙ্গে ফোনে অত্যন্ত ভদ্রভাবে কথা বলেন, কিন্তু সন্ধ্যায় ইউক্রেনে মিসাইল ছোঁড়েন।”
তিনি আরও জানান, ছয়বার ফোনালাপ ও কয়েক দফা ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পরও যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে কোনও অগ্রগতি হয়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের হুমকির পরও রাশিয়া এখনো ‘শান্ত থাকো ও চালিয়ে যাও’ নীতিতে অনড় রয়েছে। পুতিন এই চাপের মুখে আদৌ যুদ্ধ বন্ধে সম্মত হবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় ফিরেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন। তবে এখন পর্যন্ত তার সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নে কূটনৈতিক স্তরে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন:








