সোমবার

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিন অ্যাকশন নিষিদ্ধ, বিক্ষোভে ৭০ জন আটক

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই, ২০২৫ ০৭:৩৩

শেয়ার

যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিন অ্যাকশন নিষিদ্ধ, বিক্ষোভে ৭০ জন আটক
ছবি সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলন ‘ফিলিস্তিন অ্যাকশন’-কে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পর দেশটির বিভিন্ন শহরে ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রুশ বার্তা সংস্থা তাস-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, লন্ডন, ম্যানচেস্টার ও কার্ডিফে সংগঠনটির পক্ষে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অন্তত ৭০ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪১ জনকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনকে সমর্থনের অভিযোগে এবং একজনকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, ম্যানচেস্টারে আরও ১৬ জন ও কার্ডিফে ১৩ জনকে আটক করা হয়।

চলতি বছরের ৫ জুলাই ‘ফিলিস্তিন অ্যাকশন’-কে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাজ্য সরকার। সংগঠনটি মূলত ইসরায়েলি অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে প্রতিবাদ ও হামলাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতীকী কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছিল।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১১০ ফিলিস্তিনি নিহত

এদিকে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ১১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

রাফাহর দক্ষিণে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের সামনে রেশন নিতে অপেক্ষমাণ অবস্থায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪ জন নিহত হন। এসব ত্রাণ বিতরণ করছিল গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)।

হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত জিএইচএফ বন্ধের দাবি জানিয়েছে তারা। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ত্রাণকেন্দ্রের সামনে নিয়মিত হামলা দখলদার বাহিনীর হত্যাকাণ্ড, অবরোধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ বহন করে।

২০২৫ সালের ২ মার্চ থেকে গাজায় আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। সব সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ থাকায় জিএইচএফ-এর মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।

আজারবাইজানে সিরিয়া-ইসরায়েল গোপন বৈঠকের খবর

অন্য এক প্রতিবেদনে, সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল-শারা আজারবাইজানে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদের সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে সিরিয়ান গণমাধ্যম সামা টিভি।

বৈঠকে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসআদ আল-শিবানী এবং ইসরায়েলের বিশেষ দূতসহ উচ্চপদস্থ সামরিক-গোয়েন্দা কর্মকর্তারা অংশ নেন। আলোচনায় ইরানের প্রভাব, হিজবুল্লাহর অস্ত্র ভাণ্ডার, লেবাননভিত্তিক ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর ভবিষ্যৎ এবং গাজার শরণার্থীদের পুনর্বাসন ইস্যু স্থান পায়।

বৈঠকগুলো আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত হয়। অঞ্চলীয় রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরির ইঙ্গিত দিচ্ছে এই আলোচনা।

যদিও দামেস্ক সরকার বৈঠকে প্রেসিডেন্ট আল-শারার অংশগ্রহণ অস্বীকার করেছে, তবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র অন্তত একটি বৈঠকে তার উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই আলোচনা মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-সিরিয়ার সম্পর্কের নতুন ধারা সূচনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।



banner close
banner close