রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

বিশ্বজুড়ে শুল্ক উত্তেজনার মধ্যে কুয়ালালামপুরে চীন-মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১ জুলাই, ২০২৫ ১৯:২৭

শেয়ার

বিশ্বজুড়ে শুল্ক উত্তেজনার মধ্যে কুয়ালালামপুরে চীন-মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক
ছবি সংগৃহীত

বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে বিশ্বজুড়ে চরম উত্তেজনার মধ্যেই শুক্রবার (১১ জুলাই) কুয়ালালামপুরে বৈঠকে বসেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। প্রায় এক ঘণ্টার এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় এমন এক সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতির কারণে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর রুবিওর এটিই ছিল এশিয়ায় প্রথম সফর। তিনি জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আসিয়ান দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে পূর্ব এশিয়া সম্মেলন ও আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামে অংশ নিচ্ছেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, বৈঠকের শুরুতে কোনো পক্ষই প্রকাশ্যে মন্তব্য করেননি। তবে দুই দেশের কূটনৈতিক উত্তেজনা ও বাণিজ্য দ্বন্দ্বের পটভূমিতে আলোচনাটি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

চীন আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে, আগস্ট থেকে তাদের পণ্যের ওপর শুল্ক পুনর্বহাল করা হলে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি, যেসব দেশ ওয়াশিংটনের সঙ্গে সরবরাহ চুক্তি করছে, তাদের প্রতিও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে বেইজিং।

যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়ার ওপর ২৫%, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ৩২%, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার ওপর ৩৬% এবং মায়ানমার ও লাওসের ওপর ৪০% পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোতেও ক্ষোভ বাড়ছে।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, মার্কিন শুল্কনীতি ‘একতরফা ও হুমকিমূলক’, যা কোনো দায়িত্বশীল দেশের উচিত নয়। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গেও তিনি একই বার্তা দিয়েছেন।

আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও এক যৌথ বিবৃতিতে বাণিজ্য যুদ্ধ ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ না করেই তারা বলেন, একতরফা শুল্কনীতি বৈশ্বিক অর্থনীতিকে আরও সংকটের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

তারা একটি ন্যায্য, স্বচ্ছ ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার আহ্বান জানান এবং সব অংশীদারের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

বিশ্লেষকদের মতে, রুবিওর এই সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো চীনের প্রভাব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে তুলে ধরা।



banner close
banner close