যুক্তরাষ্ট্রের এক ফিলিস্তিনপন্থী নেতা মাহমুদ খলিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণের মামলা করেছেন। ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভের অন্যতম নেতা খলিলকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জন্য মার্চ মাসে ইমিগ্রেশন এজেন্টরা গ্রেপ্তার করে। তখন থেকে লুইসিয়ানার একটি অভিবাসন আটক কেন্দ্রে ছিলেন তিনি।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাস বিক্ষোভ সংগঠিত করতে সহায়তাকারী ফিলিস্তিনি কর্মী খলিল একজন বৈধ স্থায়ী রেসিডেন্ট। ৮ মার্চ বন্দী হওয়ার পর গত মাসে তিনি জামিনে মুক্তি পান। খলিল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেছেন।
খলিলকে সমর্থনকারী আইনি গোষ্ঠী এক বিবৃতিতে বলেছে, খলিল ও তার পরিবারকে আতঙ্কে রাখার জন্য ট্রাম্প প্রশাসন তাকে গ্রেপ্তার, আটক এবং নির্বাসনের অবৈধ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। খলিলকে সমর্থনকারী সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস-এর দেয়া তথ্যানুসারে, আটকের সময় খলিল তীব্র মানসিক যন্ত্রণা, অর্থনৈতিক কষ্ট এবং অসম্মানিত হন।
খলিল মামলাটিকে জবাবদিহিতার প্রথম পদক্ষেপ বলে অভিহিত করে জোর দিয়ে বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিশোধ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য জবাবদিহিতা থাকতে হবে। তিনি বলেন, তার কাছ থেকে ১০৪ দিন চুরি করে নেয়া হয়েছে। যা কিছুই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব না। মানসিক আঘাত, স্ত্রীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ এবং প্রথম সন্তানের জন্ম ট্রাম্পের অবৈধ আচরণের কারণে তিনি দেখতে পারেননি বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন তিনি।
খলিল এর আগে আটক থাকার সময় তার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। যেখানে তিনি ৭০ জনেরও বেশি পুরুষের সাথে একটি ডর্মে থাকতেন। একেবারেই কোনও প্রাইভেসি ছিল না। সব সময় আলো জ্বলত।
প্রশাসন খলিলের বিরুদ্ধে ইহুদি-বিদ্বেষের অভিযোগ এনেছে। তবে কর্মকর্তারা তাদের দাবির সমর্থনে কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। সমালোচকরা বরং যুক্তি দিয়েছেন, প্রশাসন এই ধরনের দাবি ব্যবহার করে ফিলিস্তিনপন্থী সব ধরনের তৎপরতাকে বন্ধ করে দিচ্ছে। ট্রাম্প গত ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভের সাথে জড়িত নাগরিক নয় এমন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও কর্মীদের বহিষ্কার করতে শুরু করে।
ট্রাম্পের কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলের গণহত্যা ও যুদ্ধের নিন্দা জানিয়ে যেসব কর্মসূচি পালন করছে তা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থের প্রতিকূল বলে দাবি করেন। যদিও এই পদক্ষেপগুলোর তীব্র সমালোচনা করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা । তাদের দাবি, ট্রাম্প প্রশাসন শিক্ষার্থীদের অন্যায়ভাবে শাস্তি দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করার অধিকার আছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান তাদের সে অধিকার দিয়েছে।
আরও পড়ুন:








