রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

সৌদিতে ১০১ বিদেশির মৃত্যুদণ্ড, মানবাধিকার সংস্থার তীব্র নিন্দা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৩৫

শেয়ার

সৌদিতে ১০১ বিদেশির মৃত্যুদণ্ড, মানবাধিকার সংস্থার তীব্র নিন্দা
ছবি সংগৃহীত

সৌদি আরবে মাদক সংক্রান্ত মামলায় দোষী সাব্যস্ত ইথিওপিয়ার দুই নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ২০২৫ সালে দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিদেশি নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০১-এ। সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকরের এই ধারাবাহিকতা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর উদ্বেগ ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, হাশিশ পাচারের অভিযোগে ইথিওপীয় নাগরিক খলিল কাসিম মুহাম্মদ ওমর এবং মুরাদ ইয়াকুব আদম সিয়োর বিরুদ্ধে রায় কার্যকর করা হয়েছে। আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত ১৮৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। এর মধ্যে ৮৮ জন সৌদি নাগরিক, বাকিরা বিদেশি। ২০২৪ সালে মোট ৩৩৮ জন, ২০২৩ সালে ১৭০ এবং ২০২২ সালে ১৯৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল।

সৌদি আরব ২০২২ সালের শেষ দিকে তিন বছর স্থগিত থাকার পর পুনরায় মাদক সংক্রান্ত অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর শুরু করে। এই প্রেক্ষাপটে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেছে, "এই ধারাবাহিকতা চরম অমানবিক ও অন্যায্য বিচারব্যবস্থার প্রতিফলন।" সংস্থাটির মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা বিভাগের উপপরিচালক ক্রিস্টিন বেকারলে বলেন, "বিদেশিদের এমন অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে, যা কখনোই সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় পড়া উচিত নয়।"

লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ‘রিপ্রিভ’ জানিয়েছে, চলতি বছর সৌদিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকৃতদের অর্ধেকেরও বেশি বিদেশি নাগরিক। তাদের অধিকাংশই মাদক সংশ্লিষ্ট মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত।

রিপ্রিভের মধ্যপ্রাচ্য মৃত্যুদণ্ড প্রকল্পের প্রধান জিদ বাসিউনি বলেন, "ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান একদিকে সংস্কার ও আধুনিকতার কথা বলছেন, অন্যদিকে প্রতিদিন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সৌদি আরব এক নিপীড়নমূলক বাস্তবতা তুলে ধরছে।"

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, সৌদিতে বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব এবং নাগরিকত্ব না থাকায় বিদেশিরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

সূত্র: এএফপি, এসপিএ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, রিপ্রিভ।



banner close
banner close