আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানার আওতায় থাকা সত্ত্বেও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে ইতালি, ফ্রান্স ও গ্রিস—এমন অভিযোগ তুলেছেন জাতিসংঘের ফিলিস্তিনবিষয়ক বিশেষ দূত ফ্রানচেস্কা আলবানিজ।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “রোম সংবিধির স্বাক্ষরকারী এই তিন দেশ আইসিসির সদস্য হওয়ায় তাদের আইনি বাধ্যবাধকতা ছিল নেতানিয়াহুকে আটক করা। কিন্তু তারা বরং তাকে নিরাপদভাবে আকাশপথে পাড়ি দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে, যা আইনের শাসন ও বৈশ্বিক ন্যায়বিচারের প্রতি স্পষ্ট অবজ্ঞা।”
তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত শুধু আন্তর্জাতিক আইনের মর্যাদাকেই ক্ষুণ্ন করে না, বরং বিশ্বব্যাপী সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ফেলে।”
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার মতো গুরুতর অভিযোগ তদন্ত করে। ২০২৩ সালে গাজায় ইসরাইলি অভিযানের সময় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু এবং তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
তবে পরোয়ানার পরও নেতানিয়াহু একাধিকবার বিদেশ সফর করেছেন, যা আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
সম্প্রতি আলবানিজ গাজায় ইসরাইলের দমন-পীড়নে সহায়তাকারী ৪৮টি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে এসব কোম্পানি ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি, এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতি ইসরাইল-সম্পৃক্ত বিনিয়োগ ও কার্যক্রম থেকে সরে আসার আহ্বান জানান জাতিসংঘ দূত।
আরও পড়ুন:








