রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

পরমাণু ইস্যুতে মার্কিন চাপ প্রত্যাখ্যান করলো ইরান

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০১

আপডেট: ৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০২

শেয়ার

পরমাণু ইস্যুতে মার্কিন চাপ প্রত্যাখ্যান করলো ইরান
ছবি: সংগৃহীত

ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার কোনো অনুরোধ করেনি বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঈসমাইল বাঘায়ি মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসনিমকে বলেন, ‘তাদের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো বৈঠকের অনুরোধ করা হয়নি।’

এর এক দিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ইরান আলোচনায় বসতে চায়। হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক নৈশভোজে ট্রাম্প বলেন, গত মাসে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ইরান পরাজিত হওয়ার পর তারা এখন একটি নতুন পরমাণু চুক্তির জন্য আলোচনা করতে আগ্রহী।

ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফও ওই নৈশভোজে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আলোচনার বৈঠক আগামী সপ্তাহেই হতে পারে।’

তবে ইরান বিষয়টিকে ভিন্নভাবে দেখছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ব্রিটিশ দৈনিক ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে লেখেন, ‘তেহরান কূটনীতিতে আগ্রহী, কিন্তু নতুন করে আলোচনার বিষয়ে আমরা সতর্ক। সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।’

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান মার্কিন সাংবাদিক টাকার কার্লসনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, যদি উভয় পক্ষ আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে, তাহলে আলোচনা শুরু করতে ইরানের আপত্তি নেই।

এই মন্তব্য দেশটির ভেতরে বিতর্ক তৈরি করেছে। রক্ষণশীল গণমাধ্যমগুলো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অতিমাত্রায় নমনীয় হওয়ার অভিযোগ তুলেছে।

রক্ষণশীল কায়হান পত্রিকা এক সম্পাদকীয়তে প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ্য করে লেখে, ‘সে কি ভুলে গেছেন, এই মার্কিনিরা আগেও আলোচনার কথা বলে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল?’

আরেকটি রক্ষণশীল পত্রিকা জাভান লিখেছে, প্রেসিডেন্টের বক্তব্য ছিল একটু বেশি নমনীয়।

অন্যদিকে সংস্কারপন্থী হাম মিহান পত্রিকা প্রেসিডেন্টের ইতিবাচক মনোভাবের প্রশংসা করেছে।

ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় ইরানের পরমাণু ও সামরিক স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইরান দাবি করেছে, এতে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পরমাণু আলোচনা নিয়ে বিভ্রান্তি ও রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে তেহরানে।



banner close
banner close