ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন চাপের মুখে পড়তে যাচ্ছে। সুইডিশ-ইরানি এক শিক্ষাবিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশের জেরে এবার প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ নিয়েছে বেলজিয়াম। বেলজিয়াম সংসদীয় কমিটি ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
বেলজিয়ামের ইরানি বংশোদ্ভূত এমপি দারিয়া সাফাই বুধবার (৩ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও দমন-পীড়নে জড়িত থাকার অভিযোগে আইআরজিসির বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ তার দীর্ঘদিনের প্রচারণার একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। তার ভাষায়, “বেলজিয়াম হচ্ছে ইউরোপের প্রথম দেশগুলোর একটি যারা স্পষ্টভাবে এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।”
প্রস্তাবে ২০১৬ সালে ইরানে আটক ও ২০১৭ সালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সুইডিশ-ইরানি অধ্যাপক আহমদরেজা জালালির নিঃশর্ত ও তাৎক্ষণিক মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ তাকে ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে, যদিও তিনি তা বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন। গত এপ্রিল মাসে সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার গুরুতর স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ও কঠোর কারাবন্দি অবস্থার প্রেক্ষিতে মানবিক কারণে জালালির মুক্তির আহ্বান জানান।
সাফাই জানান, তিনি দুই বছরের বেশি সময় আগে এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন এবং তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাদজা লাহবিবের সমর্থনও পেয়েছিলেন। বেলজিয়াম সরকার ইইউ নিষেধাজ্ঞার কাঠামোতে আইআরজিসিকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়েও ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, প্রস্তাবটি চূড়ান্তভাবে ইইউ গ্রহণ করলে আইআরজিসি ইউরোপীয় সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত হবে, যার ফলে তেহরান আন্তর্জাতিক মহলে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে এবং ইরানের সামরিক ও কূটনৈতিক কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন:








