বুধবার

১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১ পৌষ, ১৪৩২

যুক্তরাষ্ট্রকে হামলার চিন্তা বাদ দিতে হবে, তারপরই আলোচনা সম্ভব: ইরান

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩০ জুন, ২০২৫ ১১:৩৯

শেয়ার

যুক্তরাষ্ট্রকে হামলার চিন্তা বাদ দিতে হবে, তারপরই আলোচনা সম্ভব: ইরান
ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখত-রাভানচি। ছবি সংগ্রহীত

ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে আলোচনায় বসতে চাইলে, আগে হামলা না চালানোর নিশ্চয়তা দিতে হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখত-রাভানচি।

বিবিসির সাংবাদিক লিস ডুসেটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাখত-রাভানচি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করলেও তারা এখনো স্পষ্ট করেনি—আলোচনার সময় আর কোনও হামলা চালাবে কি না। তিনি বলেন, "এই প্রশ্নের পরিষ্কার জবাব ছাড়া আলোচনা সম্ভব নয়।"

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা শুরু করে। এর পরদিন ওমানে যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের ষষ্ঠ দফা পরোক্ষ পারমাণবিক আলোচনা বাতিল হয়। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে এবং ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহানে বোমা হামলা চালায়।

ইরানের বিরুদ্ধে গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করে তাখত-রাভানচি বলেন, "আমরা শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছি। সমৃদ্ধির মাত্রা নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তবে একেবারেই সমৃদ্ধি না করার শর্ত দিলে সেটা জঙ্গলের আইন।"

আইএইএ জানিয়েছে, হামলায় ইরানের স্থাপনায় আংশিক ক্ষতি হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এসব স্থাপনা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এ নিয়ে ইরান-আইএইএ সম্পর্কও উত্তেজনাপূর্ণ। ইরান অভিযোগ করছে, সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পক্ষ নিচ্ছে।

২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি অনুযায়ী, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধির সীমা ৩.৬৭ শতাংশ নির্ধারিত ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা চুক্তি বাতিলের পর ইরান ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করছে, যা দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি সম্ভব বলে পশ্চিমাদের দাবি।

তাখত-রাভানচি বলেন, "আমরা যুদ্ধ চাই না। সংলাপ ও কূটনীতিতে বিশ্বাস করি। তবে আগ্রাসনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, যেন আবার বিস্মিত না হই।" তিনি জানান, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি টিকবে কি না, তা নির্ভর করছে ভবিষ্যতের পরিস্থিতির ওপর।

সূত্র: বিবিসি



banner close
banner close