বুধবার

১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১ পৌষ, ১৪৩২

ইসরায়েলের নতুন নির্দেশ, গাজার উত্তরাঞ্চল ছাড়তে বাধ্য ফিলিস্তিনিরা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩০ জুন, ২০২৫ ১১:১৭

আপডেট: ৩০ জুন, ২০২৫ ১২:১২

শেয়ার

ইসরায়েলের নতুন নির্দেশ, গাজার উত্তরাঞ্চল ছাড়তে বাধ্য ফিলিস্তিনিরা
ছবি সংগৃহীত

গাজার উত্তরাঞ্চলে সামরিক অভিযান আরও তীব্র ও বিস্তৃত করার পরিকল্পনায় ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের সরিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। শনিবার (২৯ জুন) গাজা সিটি ও জাবালিয়ার বাসিন্দাদের দক্ষিণের উপকূলীয় এলাকা আল-মাওয়াসিতে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। খবর বিবিসির।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি মুক্তির জন্য নতুন চুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া বার্তায় তিনি বলেন, “ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই মুহূর্তে হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময়ের চুক্তি করছেন।”

এছাড়া রোববার (৩০ জুন) ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র অবিচাই আদ্রেয়ি বলেন, “উত্তর গাজায় সন্ত্রাসী ও অবকাঠামো ধ্বংসে অভিযান চলছে।” বাসিন্দা ও মেডিক সূত্র জানায়, ভোরের গোলাবর্ষণে কয়েকটি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে, নিহত হয়েছেন অন্তত ২৩ জন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে আল-মাওয়াসির কথিত ‘নিরাপদ জোনে’ তিন শিশু ছিল।

আল-মাওয়াসিতে ঘুমন্ত অবস্থায় পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়, যাদের মধ্যে তিন শিশুও ছিল। নিহতদের বাবা জেয়াদ আবু মারুফ জানান, এক মাস আগে ইসরায়েলের নির্দেশে তারা সেখানেই আশ্রয় নিয়েছিলেন।

আইডিএফ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া মন্তব্য করা যাচ্ছে না। তবে তারা আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা এবং বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করছে।

এদিকে, উত্তর গাজায় ইসরায়েলি সেনা সার্জেন্ট ইস্রায়েল নাতান রোসেনফেল্ড নিহত হওয়ার তথ্যও নিশ্চিত করেছে আইডিএফ।

মধ্যস্থতাকারীরা নতুন যুদ্ধবিরতি ও বন্দি মুক্তির চুক্তির প্রচেষ্টা শুরু করেছে। কাতারি মধ্যস্থতাকারীরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপ এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে পারে। নেতানিয়াহু বলেন, “ইরানের ওপর বিজয় আমাদের জন্য সুযোগের দ্বার খুলেছে, যার মধ্যে অন্যতম বন্দি মুক্তি।”

ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চুক্তি হতে পারে। তবে এর আগেও মার্চ মাসে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েল নতুন হামলা শুরু করেছিল।

ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ করেছিল, যা ১১ সপ্তাহ পর আংশিক চালু করা হয়। নতুন ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ) নামে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সমর্থিত বিতর্কিত সংস্থার মাধ্যমে সীমিত সহায়তা বিতরণ চলছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর মুখপাত্র জুলিয়েট তৌমা বলেন, “এই নতুন সহায়তা ব্যবস্থাই মৃত্যুর ময়দান তৈরি করছে।”

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছে।



banner close
banner close