বুধবার

১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১ পৌষ, ১৪৩২

সুদানে সোনার খনি ধসে ১১ জনের মৃত্যু, গৃহযুদ্ধের মধ্যে বাড়ছে বিপর্যয়

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩০ জুন, ২০২৫ ১১:০৫

শেয়ার

সুদানে সোনার খনি ধসে ১১ জনের মৃত্যু, গৃহযুদ্ধের মধ্যে বাড়ছে বিপর্যয়
ছবি সংগৃহীত

গৃহযুদ্ধের মধ্যে বিপর্যস্ত সুদানে আবারও সোনার খনি ধসের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রেড সি প্রদেশের প্রত্যন্ত মরু এলাকায় অবস্থিত কিরশ আল-ফিল খনিতে এই দুর্ঘটনায় অন্তত ১১ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৭ জন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সুদানিজ মিনারেল রিসোর্সেস কোম্পানি (এসএমআরসি)।

রোববার (২৯ জুন) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এসএমআরসি জানায়, খনিটির একটি 'কারিগরি শাফট'-এ ধস নামে। সংস্থাটি আরও দাবি করেছে, দুর্ঘটনার আগেই তারা খনির কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছিল এবং মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সতর্কও করা হয়েছিল।

সুদানের অর্থনীতিতে সোনার খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে চলমান গৃহযুদ্ধের সময় এসএএফ (সুদানের সশস্ত্র বাহিনী) ও আরএসএফ (র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস) উভয়ের যুদ্ধের বড় অংশের অর্থায়ন হচ্ছে সোনা বিক্রি থেকে। তবে অধিকাংশ সোনা অবৈধভাবে চাদ, দক্ষিণ সুদান ও মিসরের মাধ্যমে পাচার হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)-তে পৌঁছায়। ইউএই বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনা রপ্তানিকারক দেশ হলেও আরএসএফকে অস্ত্র সহায়তার অভিযোগ তারা অস্বীকার করেছে।

গৃহযুদ্ধের আগ পর্যন্ত দেশটির ক্ষুদ্র ও কারিগরি খনিগুলোতে ২০ লাখেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান ছিল। কিন্তু এসব খনিতে নিরাপত্তার অভাব, দুর্ঘটনার ঝুঁকি এবং রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে ব্যাপক স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দেয়। এর আগে ২০২৩ সালে এক খনিধসে ১৪ জন এবং ২০২১ সালে ৩৮ জন নিহত হয়।

গৃহযুদ্ধের তৃতীয় বছরে পা দেওয়া সুদানে এখন ভয়াবহ মানবিক সংকট চলছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ঘরছাড়া। এর মধ্যে ৪০ লাখের বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।

বর্তমানে উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের বড় অংশ, বিশেষ করে রাজধানী খার্তুম, এসএএফের নিয়ন্ত্রণে। অন্যদিকে পশ্চিমাঞ্চলের দারফুরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।



banner close
banner close