বুধবার

১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১ পৌষ, ১৪৩২

ইরানের ‘অজেয়’ পরমাণু ঘাঁটি: ইসফাহানের গভীরে যুক্তরাষ্ট্রের বোমাও অকার্যকর

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৯ জুন, ২০২৫ ১২:২৬

শেয়ার

ইরানের ‘অজেয়’ পরমাণু ঘাঁটি: ইসফাহানের গভীরে যুক্তরাষ্ট্রের বোমাও অকার্যকর
ছবি সংগৃহীত

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলা, কিন্তু প্রকৃত শক্তির উৎস ইসফাহানের ভূগর্ভেই—যেখানে মার্কিন ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমাও পৌঁছাতে ব্যর্থ।

সম্প্রতি ফরদো পারমাণবিক স্থাপনায় ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা হামলা চালিয়ে সেটি ধ্বংসের দাবি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে মার্কিন সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এখন স্বীকার করছেন, ইরানের প্রকৃত পারমাণবিক শক্তির মূল ঘাঁটি ফরদো নয়, বরং মধ্যাঞ্চলীয় ইসফাহানের গভীরে গড়ে তোলা একটি দুর্ভেদ্য পারমাণবিক স্থাপনা।

ইউরেনিয়ামের বিশাল মজুত

জানা গেছে, ওই স্থাপনাটির নিচে রয়েছে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের সবচেয়ে বড় মজুত—যা একটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য যথেষ্ট। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ইরান এখানে তার প্রক্রিয়াজাত ইউরেনিয়ামের প্রায় ৬০ শতাংশ গোপনে সংরক্ষণ করে রেখেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ব্যর্থ কেন?

বৃহস্পতিবার মার্কিন সিনেটের এক গোপন ব্রিফিংয়ে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন জানান, ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনাটি এতটাই গভীরে যে, সেখানে বাঙ্কার বাস্টার বোমাও কার্যকর নয়। এজন্য ফরদো ও নাতাঞ্জে বিমান হামলা চালালেও ইসফাহানে কেবল সাবমেরিন থেকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপেই সীমাবদ্ধ ছিল যুক্তরাষ্ট্র।

স্থাপনাটি ‘ধ্বংসযোগ্য’ নয়

সিআইএ এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারাও আশঙ্কা করছেন, ইরান তার পারমাণবিক মজুত এমন জায়গায় সঞ্চিত করেছে, যেখানে প্রচলিত সামরিক হামলায় পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব। ডেমোক্র্যাট সিনেটর ক্রিস মারফি বলেন, “আমাদের সামরিক সক্ষমতা এমন গভীর স্থাপনায় আঘাত হানতে যথেষ্ট নয়।”

ইউরেনিয়াম সরানো হয়নি: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, হামলার আগে ইরান ইউরেনিয়াম সরিয়ে নেয়নি। একই কথা বলেছেন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথও। তবে ইরানের কৌশলগত অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে ওয়াশিংটনে।

সূত্র: সিএনএন



banner close
banner close