পাকিস্তানের মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে রোববার (২৯ জুন) ভোরে মাঝারি মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) জানায়, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল বেলুচিস্তানের বারখান শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে, যা ভূকম্পনকে আরও তীব্র অনুভূত করতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।
পাকিস্তানের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, ভূমিকম্পটি মূলত মুসাখেল জেলার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে উৎপন্ন হয়, যার গভীরতা ছিল ২৮ কিলোমিটার। কম্পন মুসাখেল ছাড়াও আশপাশের এলাকাজুড়ে অনুভূত হয়।
ইউরো-মেডিটেরেনিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের (ইএমএসসি) তথ্যমতে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল পাঞ্জাবের মুলতান শহর থেকে প্রায় ১৪৯ কিলোমিটার পশ্চিমে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই কম্পন অনুভব করার পর আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। তবে প্রাথমিকভাবে কোনো প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানানো হয়েছে।
ভূ-তাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পাকিস্তান ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় দেশটিতে ভূমিকম্প হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। অতীতেও দেশটিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের নজির রয়েছে।
২০০৫ সালে আজাদ কাশ্মীরে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ৭৩ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান এবং গৃহহীন হন প্রায় ৩৫ লাখ। ২০১৫ সালে পাকিস্তান-আফগানিস্তানে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রাণ হারান প্রায় ৪০০ জন। ২০২১ সালে বেলুচিস্তানের হরনাই জেলায় ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছিলেন।
তবে এবারের ভূমিকম্পে এখনো পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না ঘটায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন:








