বুধবার

১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১ পৌষ, ১৪৩২

ইসরায়েল রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের ৮১০ মিলিয়ন ডলারের থাড ব্যয়

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৯ জুন, ২০২৫ ১০:৪১

শেয়ার

ইসরায়েল রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের ৮১০ মিলিয়ন ডলারের থাড ব্যয়
ছবি সংগৃহীত

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮১০ মিলিয়ন থেকে ১.২ বিলিয়ন ডলার। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্র টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) ব্যবস্থার অন্তত ৬০-৮০টি ইন্টারসেপ্টর ব্যবহার করে, যা সম্পূর্ণ যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব অস্ত্রভাণ্ডার থেকে সরবরাহ করা হয়।

মিলিটারি ওয়াচ ম্যাগাজিন জানিয়েছে, প্রতিটি থাড ইন্টারসেপ্টরের উৎক্ষেপণ খরচ ১২-১৫ মিলিয়ন ডলার, যা থেকে অনুমান করা যায়—এ সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় দাঁড়ায় ৮১০ মিলিয়ন থেকে ১.২১৫ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত। যদিও যুক্তরাষ্ট্র বছরে মাত্র ৫০-৬০টি ইন্টারসেপ্টর তৈরি করে, ফলে ব্যবহারকৃত মজুত পুনরায় সংগ্রহে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ২০২৪ সালের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে থাড ব্যবস্থা মোতায়েন করে রেখেছিল। উল্লেখ্য, থাড সিস্টেমটি মূলত ইরান ও উত্তর কোরিয়ার মতো দেশের ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি মোকাবিলার লক্ষ্যেই নির্মিত।

সংঘাতের সূচনা হয় ১৩ জুন, যখন ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরান থেকে ‘গাদর’, ‘এমাদ’, ‘খেইবার শেকান’ ও ‘ফাত্তাহ-১’ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়, যেগুলোর গতি ১৫ ম্যাক, ফলে থাড দিয়েও প্রতিরোধ অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ে।

ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ডস কর্পস (IRGC) এর অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি'র আওতায় ইসরায়েল লক্ষ্য করে ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়, যার ফলে বিভিন্ন শহরে প্রাণহানি ও ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়।

এরপর ২২ জুন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষে ইরানের নাতানজ, ফোরদো ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় পাল্টা বিমান হামলা চালায়। সর্বশেষ ২৪ জুন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষ অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়।

সূত্র: এনডিটিভি



banner close
banner close