জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্থানচ্যুত মানুষের জন্য বিশ্বে প্রথমবারের মতো বিশেষ ভিসা চালু করেছে অস্ট্রেলিয়া। ‘প্যাসিফিক এনগেজমেন্ট ভিসা’ নামে পরিচিত এ কর্মসূচির আওতায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র টুভালুর নাগরিকরা স্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের সুযোগ পাচ্ছেন।
চলতি বছরের ১৬ জুন থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে, যা চলবে ১৮ জুলাই পর্যন্ত। এরই মধ্যে টুভালুর মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের বেশি—১,১২৪ জন আবেদন করেছেন, যার সঙ্গে পরিবারের সদস্যসহ মোট উপকারভোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪,০৫২
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র বিভাগ জানিয়েছে, এই উদ্যোগ জলবায়ুজনিত স্থানচ্যুতির প্রতি একটি “যুগান্তকারী কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া”। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র পাঁচ মিটার ওপরে অবস্থিত টুভালুকে বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ভিসাধারীরা অস্ট্রেলিয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থায়ীভাবে বসবাস, কাজ ও শিক্ষার সুযোগ পাবেন। থাকবে মেডিকেয়ার সিস্টেমে অ্যাক্সেস, শিশু যত্ন ভর্তুকি এবং নাগরিকদের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তুকি সুবিধা। আবেদন ফি মাত্র ২৫ অস্ট্রেলীয় ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই ভিসার আওতায় প্রতি বছর র্যান্ডম পদ্ধতিতে ২৮০ জন টুভালুবাসীকে ভিসা দেওয়া হবে। এটি অস্ট্রেলিয়া ও টুভালুর মধ্যে ২০২৪ সালের আগস্টে স্বাক্ষরিত ‘ফ্যালেপিলি ইউনিয়ন চুক্তি’র অংশ, যার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জনস্বাস্থ্য সংকট এবং সামরিক আগ্রাসনের মতো সংকটে টুভালুকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
টুভালুর প্রধানমন্ত্রী ফেলেতি তেও এই ভিসা উদ্যোগকে “টুভালুর ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রত্ব ও সার্বভৌমত্বকে আইনিভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার ইতিহাস গড়া পদক্ষেপ” বলে উল্লেখ করেন এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন:








