রবিবার

১৫ জুন, ২০২৫
১ আষাঢ়, ১৪৩২
১৯ , ১৪৪৬

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান পাকিস্তানের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪ জুন, ২০২৫ ২০:৪৬

শেয়ার

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান পাকিস্তানের

ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান হামলা-পাল্টা হামলার মাঝে ইরানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

শনিবার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, ‘‘আমরা ইরানের পাশে আছি এবং তাদের স্বার্থ রক্ষায় প্রত্যেকটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমর্থন জানাবো।‘’

তিনি বলেন, ‘‘ইরান, ইয়েমেন এবং ফিলিস্তিনকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে ইসরায়েল। যদি মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এখন ঐক্যবদ্ধ না হয়, তাহলে প্রত্যেককেই একই পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।’’

বিশ্বের সকল মুসলিম দেশকে অবিলম্বে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানান পাকিস্তানের এই মন্ত্রী। পাশাপাশি ইসরায়েল ইস্যুতে একটি যৌথ কৌশল নির্ধারণে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থাকে জরুরি বৈঠকে বসার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

খাজা আসিফ বলেন, ইরানের সঙ্গে পাকিস্তানের গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং ইসলামাবাদ ‘‘এই কঠিন সময়ে তেহরানের পাশে রয়েছে।‘’

এদিকে, ইরানি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের হামলাকে ‘‘ইরানের সার্বভৌমত্বের নগ্ন লঙ্ঘন’’ বলে অভিহিত করেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম এবং ইরানের দক্ষিণ-পূর্ব অংশজুড়ে ৭৫০ কিলোমিটার (৪৬৬ মাইল) দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।

এর আগে, শুক্রবার তেহরানের বিভিন্ন আবাসিক ভবন, সামরিক ঘাঁটি ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এই হামলায় ইরানে প্রায় ১০০ জন বেসামরিক নাগরিক, সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।

এর জবাবে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে সামরিক ঘাঁটি ও পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে পাঁচ ধাপে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইরান। ইরানের সামরিক বাহিনী বলেছে, ইরানি হামলায় ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলের ১৫০টিরও বেশি সামরিক ও গোয়েন্দা স্থাপনা ধ্বংস কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শনিবারও দ্বিতীয় দিনের মতো ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালাচ্ছে ইরান। আগামী কয়েক ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ইরানের হামলা জোরদার করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

banner close
banner close