
ইরানের হামলায় ইসরায়েলের দুইটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে। পরে যুদ্ধবিমানগুলোর একজন নারী পাইলটকেও আটক করা হয়েছে। দেশটির আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহের-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তাসনিম প্রকাশিত প্রতিবেদনের মতে, যুদ্ধবিমানগুলোর একটির নারী পাইলটকে বন্দি করা হয়েছে।
তবে ইসরায়েল সেনাবাহিনী ইরানের এ দাবি অস্বীকার করেছে।
এর আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৩ জুন) ভোররাতে ইসরায়েলির বিমান বাহিনী ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে অভিযান চালায়। এই হামলায় ইরানে পরমাণু স্থাপনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা ও সামরিক কম্যান্ড কেন্দ্রগুলোকে টার্গেট করা হয়।
ইরানে হামলার পর নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শুক্রবার ভোরে ঘটা এই হামলায় এরইমধ্যে সৌদি আরব, তুর্কিসহ বিশ্বের অনেক দেশ তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
জানা গেছে, ইরানে পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর অংশ হিসেবে অনেক দিন ধরেই পরিকল্পনা করছিল ইসরায়েল। এর অংশ হিসেবে তারা সেখানে একটা ড্রোন ঘাঁটি স্থাপন ও নির্ভুল অস্ত্র ব্যবস্থা ও কম্যান্ডো পাচার করেছে।
ইসরায়েলের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা টাইমস অফ ইসরায়েলকে বলেন, মোসাদ এজেন্টরা তেহরানে সেই ঘাঁটি স্থাপন করেছিলেন। তারপর রাতারাতিতে সেই ঘাঁটি ব্যবহার করেই ভূমিতে স্থাপন করা ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারগুলিতে আঘাত হানে। এর ফলেই ইরান তাৎক্ষণিক পাল্টা হামলা চালাতে সক্ষম হয়নি এবং তাদের বিমানপ্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অনেকটাই ধ্বংস হয়ে যায়।
ইরানে ইসরায়েলির হামলায় অন্তত ৭৮ জন নিহত ও ৩২৯ জন আহত হয়েছে। দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ড পরিচালিত নিউজ এজেন্সিতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ে, বাস্তবে নিহত ও আহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।
আরও পড়ুন: