
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড বা সেন্টকম কমান্ডার আর্মি জেনারেল মাইকেল কুরিলা পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাস দমনে অসাধারণ অংশীদার’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। বেলুচিস্তানের সন্ত্রাস এবং ইসলামিক স্টেট-খোরাসান বা আইএস-কে-এর মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইসলামাবাদের লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করে এ মন্তব্য করেন তিনি।
১০ জুন ওয়াশিংটনে এক সংলাপ চলাকালে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাস দমন সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে। সংলাপে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপি এবং আইএস-কে-এর মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির সৃষ্ট হুমকিসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার উপর জোর দেয়া হয়।
এই মাসে দুই দেশের মধ্যে আরেকটি সন্ত্রাস দমন সংলাপ হওয়ার কথা রয়েছে।
ওয়াশিংটনে হাউজ আর্মড সার্ভিসেস কমিটির শুনানিতে মঙ্গলবার জেনারেল মাইকেল কুরিলাকে পাকিস্তানের সাথে আফগান সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ আইএস কর্মীকে আটক করেছে।’
ইসলামাবাদের সাথে অসাধারণ অংশীদারিত্বের প্রশংসা করে জেনারেল কুরিলা যোগ করেন, ‘পাকিস্তান আইসিস খোরাসান-এর পিছনে ছুটছে। গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহের কারণে কমপক্ষে পাঁচজন আইসিস খোরাসানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে আটক করেছে পাকিস্তান।’
তিনি আইসিস-এর সদস্য মোহাম্মদ শরিফুল্লাহকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বলেন, তাকে গ্রেপ্তারের পর তিনি সেনাবাহিনী প্রধান ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনিরের কাছ থেকে ফোন পেয়েছিলেন। মুনির তাকে বলেছিলেন, ‘তাকে ধরে ফেলেছি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠাতে চাই। বিষয়টি আপনাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টকে জানান।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তাদের সীমিত গোয়েন্দা তথ্য দিয়েছি এবং ফল পেয়েছি।’
জেনারেল কুরিলা জানান, পাকিস্তান এখনো সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে সক্রিয়। ২০২৪ সালে পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে সহস্রাধিক সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তান ও ভারত উভয়ের সাথেই সম্পর্ক বজায় রাখা দরকার।
এর আগে মার্চ মাসে মার্কিন কংগ্রেসে এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শরীফুল্লাহকে গ্রেপ্তার করায় পাকিস্তানের প্রশংসা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: