সোমবার

৯ জুন, ২০২৫
২৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
১৩ , ১৪৪৬

র-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে পাকিস্তান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ জুন, ২০২৫ ১১:০৮

আপডেট: ৬ জুন, ২০২৫ ১২:৩২

শেয়ার

র-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে পাকিস্তান
র-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে পাকিস্তান

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘ জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে নির্বাচিত হওয়ার মধ্যে দিয়ে দেশটির সন্ত্রাস দমনের যোগ্যতার প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থা পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।‘

একদিন আগে, পাকিস্তানকে আফগান তালেবানদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের তত্ত্বাবধানে গঠিত কমিটির সভাপতি করা হয়। একই দিন পাকিস্তানকে নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাস দমন কমিটির (সিটিসি) সহসভাপতিও নিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, পাকিস্তান দুটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক সংস্থার সহ-সভাপতি হিসেবে কাজ করার দায়িত্ব পেয়েছে। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেই শেহবাজ শরিফ বিশ্ববাসীর আস্থা নিয়ে ওই মন্তব্য করেন।

এদিকে বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘পাকিস্তান ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং বা র-এর অর্থ এবং "ভারতীয় প্রক্সি"-এর মাধ্যমে পরিচালিত একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে লড়ছে।

বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে দেয়া এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, জাতিসংঘে পাকিস্তানের সাফল্য ‘অত্যন্ত গর্বের বিষয়‘। তিনি লেখেন, ‘এই গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগগুলি পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী দক্ষতার প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থা ও বিশ্বাস প্রকাশ করে। এই বৈশ্বিক হুমকি নির্মূলে আমাদের দৃঢ় ও অটল প্রতিশ্রুতির স্বীকৃতিও দেয়। সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় শিকারদের একজন হিসেবে, ৯০ হাজারেরও বেশি হতাহত এবং ১৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ে পাকিস্তান। এই ভয়াবহতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের আত্মত্যাগ অতুলনীয়।‘

২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে পাকিস্তান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে দুই বছরের মেয়াদ শুরু করেছে। নিরাপত্তা পরিষদে এটি পাকিস্তানের অষ্টম মেয়াদ। জুলাই মাসে পরিষদের সভাপতিত্ব করবে তারা।

এমন এক সময় এসব সিদ্ধান্ত হলো যখন পাকিস্তানের একটি উচ্চ পর্যায়ের পার্লামেন্টারি প্রতিনিধিদল নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তর পরিদর্শন করছিল। এর আগে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার পর ভারত এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে। এক পর্যায়ে পাকিস্তানে হামলাও চালায় তারা। কড়া জবাব দেয় ইসলামাবাদ। এক রাতেই পাঁচটি যুদ্ধবিমান হারায় ভারত। পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে যুদ্ধ বন্ধ হয়।

এরপর থেকেই ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে দুটি দেশ। দু দেশের পক্ষ থেকেই উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সফর করে নিজ নিজ দেশের পক্ষ থেকে বয়ান প্রচার ও প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে।

এরই এক পর্যায়ে সাফল্য পেল পাকিস্তান।

তবে ভারত শুধু প্রতিনিধি দল পাঠিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেন, পাকিস্তানে ‘র‘ অর্থ দিয়ে প্রক্সি যুদ্ধ চালাচ্ছে। যে কারণে বেলুচিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। গত মাসে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-ও এর জন্য ভারতকে দায়ী করে।

বুগতি বলেন, কিছু দিন আগেই ‘পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতীয় আগ্রাসনের কড় জবাব দেয়। অপারেশন সিন্দুরের ব্যর্থতার পর ভারত ফিতনাউল হিন্দুস্তান নামে একটি গ্রুপকে উস্কে দেয়। তিনি অভিযোগ করেন, ভারতীয় গণমাধ্যম করাচি বন্দরে হামলার বিষয়ে ভুয়া খবর প্রচার করেছে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘প্রয়োজনে, আমরা সামরিক বাহিনীকে অভিযান পরিচালনা করতে দ্বিধা করব না।‘

banner close
banner close