
ভারত এ পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি মানুষকে বাংলাদেশে ‘পুশ ইন ( ঠেলে পাঠানো) করেছে। পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’পরিচালনার পর এসব মানুষের ফেরত পাঠানো হয়েছে। ভারতের অভিযোগ, এসব ব্যক্তি ‘অবৈধভাবে’ দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে বসবাস করছিলেন।
এ ছাড়া আরও দুই হাজার ব্যক্তিকে ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় রাখা হয়েছে। ভারত দাবি করছে, এসব মানুষ নাকি ধরপাকড় ও হাজত বাস এড়াতে নিজে থেকে বাংলাদেশে চলে যেতে চাইছেন।
এর আগে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য সরকারদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, অবৈধভাবে বসবাস করা বিদেশিদের চিহ্নিত করে দ্রুত ফেরত পাঠাতে হবে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, এই দুই হাজার ব্যক্তিকে বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ সেই অভিযানেরই অংশ।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্তবর্তী রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয় ও আসাম ছাড়াও বিদেশি বাছাই অভিযান বেশি চলছে গুজরাট, হরিয়াণা, দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানে। সবার আগে সবচেয়ে বেশি ‘অবৈধ’ বসবাসকারী ফেরত পাঠায় গুজরাট। ঠেলে পাঠানো দুই হাজার ব্যক্তির মধ্যে অর্ধেক ওই রাজ্যের। যাঁদের ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং যাঁরা সীমান্তে অবস্থান করছেন, সবাইকে ‘বাংলাদেশি’ বলে দাবি করছে ভারত।
অধিকাংশ রাজ্য কেন্দ্রীয় নির্দেশ পালন করছে বলে সরকারি সূত্র জানালেও, মূলত বিজেপিশাসিত রাজ্য থেকেই অবৈধভাবে বসবাসকারী ব্যক্তিদের ‘বাংলাদেশি’ বলে জবরদস্তি ফেরত পাঠানো হচ্ছে,।
এক্ষেত্রে ‘অবৈধ অভিবাসী’ সন্দেহে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সরকারি খরচে উড়েজাহাজ বা ট্রেনে করে বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে তাঁদের তুলে দেয়া হচ্ছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ হাতে। বিভিন্ন রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় তাঁদের থাকার জন্য অস্থায়ী আস্তানাও তৈরি করা হয়েছে।
এর আগে, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনার পর ৭ মে ভারত পাকিস্তানে হামলা চালায়। ১০ মে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। সেই থেকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বসবাসকারী কথিত ‘অনুপ্রবেশকারীদের’ ধরতে ধরপাকড় অভিযান শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: