শুক্রবার

৩০ মে, ২০২৫
১৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
৪ , ১৪৪৬

গাজায় নতুন হামাস প্রধানকে হত্যার দাবি নেতানিয়াহুর

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৯ মে, ২০২৫ ০৬:৩১

শেয়ার

গাজায় নতুন হামাস প্রধানকে হত্যার দাবি নেতানিয়াহুর
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর এই ছবিটি প্রকাশ ও দাবি করে এই ব্যক্তি হামাসের গাজাপ্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ার। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালিয়ে হামাসের প্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ারকে হত্যার দাবি করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে সিনওয়ারের মৃত্যু নিয়ে হামাস তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানায়নি।

বুধবার (২৮ মে) ইসরায়েলের পার্লামেন্টে (নেসেট) তিনি এই হত্যার কথা স্বীকার করেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনাকারী ও হামাসের সাবেক প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছোট ভাই হচ্ছেন এই মোহাম্মদ সিনওয়ার। ২০২৪ সালের অক্টোবরে গাজার রাফা এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের হাতে ইয়াহিয়া সিনওয়ার প্রাণ হারানোর পর মোহাম্মদ সিনওয়ার গাজায় হামাসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মোহাম্মদ সিনওয়ারের অবস্থান নিশানা করে চলতি মাসে দক্ষিণ গাজার একটি হাসপাতালে হামলা চালায় ইসরায়েল।

তবে, গত ২১ মে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, খুব সম্ভবত মোহাম্মদ সিনওয়ার নিহত হয়েছেন। গত প্রায় ২০ মাসে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে নিহত হামাস নেতাদের নাম তুলে ধরে বুধবার নেসেটে মোহাম্মদ সিনওয়ারকে ‘হত্যা’র বিষয়টি নিশ্চিত করে নেতানিয়াহু বলেন, মোহাম্মদ সিনওয়ারকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে। গত দুই দিনে আমরা হামাসের পুরোপুরি পরাজয়ের দিকে একটি নাটকীয় মোড় দেখতে পেয়েছি।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল এখন গাজায় ‘খাদ্য বিতরণের নিয়ন্ত্রণও নিচ্ছে’ বলে উল্লেখ করেন নেতানিয়াহু। এখানে তিনি গাজায় নতুন ত্রাণ সহায়তা বিতরণ ব্যবস্থার কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত একটি সংগঠন তা পরিচালনা করছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নেতানিয়াহুর এই ঘোষণা এমন এক সময় এসেছে যখন ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা তীব্রতর করেছে। চলতি বছরের শুরুতে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ১৮ মার্চ থেকে উপত্যকাটিতে হামলা জোরদার করে ইসরায়েল।

দখলদার ইসরায়েলের দাবি, হামাসের শাসন ও সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস করা এবং গাজায় বন্দী থাকা আটকদের মুক্ত করাই তাদের লক্ষ্য।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্ব ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। সেদিন ২৫০ এরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা। হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গাজায় পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, গাজা উপত্যকায় ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া, ইসরায়েলি হামলার মুখে ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি স্থানচ্যুত হয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই নিরীহ নাগরিক। তবে কতজন যোদ্ধা মারা গেছে, সে বিষয়ে তারা কোনো তথ্য দেননি গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ।

যদিও ইসরায়েলের দাবি, তারা লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। কিন্তু তারা এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।

banner close
banner close