শুক্রবার

১৬ মে, ২০২৫
২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
১৯ জিলক্বদ, ১৪৪৬

পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভারতকে পাকিস্তানের বার্তা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬ মে, ২০২৫ ১৬:১৬

শেয়ার

পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভারতকে পাকিস্তানের বার্তা
ক্ষেপণাস্ত্র ও পেছনে পাকিস্তানের পতাকা। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের পারমাণবিক ব্ল্যাক মার্কেট এবং বারবার পারমাণবিক পদার্থ চুরি ও অবৈধ পাচারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থাকে (আইএইএ) তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান। এছাড়া এ সংক্রান্ত নিরাপত্তা ঘাটতির বিষয়টিও সামনে এনেছে দেশটি। পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান।

শুক্রবার (১৬ মে) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর ভারতে রেডিও অ্যাকটিভ উপাদান চুরি ও অন্যান্য নিরাপত্তা ত্রুটির একাধিক ঘটনার উল্লেখ করে বলেছে, পাকিস্তান এই ঘটনাগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছে এবং ভারতকে তার পারমাণবিক স্থাপনা ও অস্ত্রাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আইএইএ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ভারতে বারবার পারমাণবিক ও রেডিওঅ্যাকটিভ উপাদান চুরি এবং অবৈধ পাচারের ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া।

এই বিবৃতি ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের শ্রীনগরে ভারতীয় সেনাদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতার প্রতিক্রিয়ায় এসেছে। সিং বলেছিলেন, আমি মনে করি পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রগুলো আইএইএর তত্ত্বাবধানে নেওয়া উচিত। এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান জানায়, এটি ভারতের নিরাপত্তাহীনতা এবং পাকিস্তানের কার্যকর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রতি অসন্তোষের প্রতিফলন।

সম্প্রতি পেহেলগাম হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছিল, যা পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকির বিষয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ সৃষ্টি করেছিল। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারত কোনো পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না। সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানা হবে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য তার অজ্ঞতা ও হতাশার প্রতিফলন, যেখানে তিনি আইএইএর কার্যাবলী এবং দায়িত্ব সম্পর্কে অস্পষ্ট। পাকিস্তান আরও জানায়, তাদের প্রচলিত প্রতিরক্ষা সক্ষমতাই ভারতের আগ্রাসন রোধে যথেষ্ট।

পররাষ্ট্র দপ্তর উল্লেখ করেছে, গত বছর ভারতের দেহরাদুন শহরে পাঁচ ব্যক্তি ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার থেকে চুরি করা একটি রেডিওঅ্যাকটিভ ডিভাইসসহ ধরা পড়েছিল। এছাড়া, একটি গ্যাংয়ের কাছে ক্যালিফোর্নিয়াম নামে একটি অত্যন্ত রেডিওঅ্যাকটিভ উপাদান পাওয়া গিয়েছিল, যার মূল্য ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি। ২০২১ সালে ক্যালিফোর্নিয়াম চুরির আরও তিনটি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছিল।

দপ্তর আরও জানিয়েছে, এই পুনরাবৃত্ত ঘটনাগুলো নয়াদিল্লির পারমাণবিক ও অন্যান্য রেডিওঅ্যাকটিভ উপাদানের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য গৃহীত ব্যবস্থাগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এ ঘটনাগুলো ভারতের অভ্যন্তরে সংবেদনশীল, দ্বৈত-ব্যবহারযোগ্য উপাদানের জন্য একটি কালোবাজারের অস্তিত্বের ইঙ্গিত দেয়।

 

banner close
banner close