
ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর (পিএএফ) সাহসী ভূমিকার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পাকিস্তান। দেশটির ঝাং শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক ব্যতিক্রমী আয়োজন। ঝং পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের ঝং জেলার রাজধানী শহর। এটি চিনাব নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত।
বুধবার শোরকোটের হজরত সুলতান বাহুর মাজার এলাকায় ‘মুসলিম ইনস্টিটিউট’-এর উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়। হাজারো মানুষ এতে অংশ নেয়, যারা সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় সেনাবাহিনীর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। অনুষ্ঠানে বহু মানুষ একত্রিত হয়ে মানব আকৃতিতে পাকিস্তানি জি-১০সি যুদ্ধবিমানের প্রতিরূপ তৈরি করে। এই যুদ্ধবিমান সম্প্রতি ভারতের রাফাল বিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় আসে।
এই আয়োজনটি ছিল ভারতের আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দৃঢ় পদক্ষেপের প্রশংসা জানানোর জন্য। এ ছাড়া যুদ্ধবিমানের এই আকৃতি তৈরি করে চীন, তুরস্ক ও আজারবাইজানকেও ধন্যবাদ জানানো হয়, যারা পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র।
পারমাণবিক শক্তিধর ভারত ও পাকিস্তান গত তিন দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক সংঘাতের পরে গত শনিবার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। এই সংঘাত নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে, কারণ এটি বড় যুদ্ধেও রূপ নিতে পারত।
এই সংঘাত শুরু হয় গত বুধবার, যখন ভারত পাকিস্তানে ‘সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি’ লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
ভারতের দাবি, ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার জবাবে তারা এই পদক্ষেপ নেয়। তবে পাকিস্তান জানিয়েছে, ওই হামলার সঙ্গে তাদের কোনো যোগ নেই, বরং ভারতের হামলা সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করেই করা হয়েছিল।
পাকিস্তান এরপর ‘অপারেশন বুনিয়ান-উল-মারসুস’ নামে পাল্টা বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালায় এবং ভারতের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করে। পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানান, এই হামলাগুলো খুব নিখুঁত ও পরিমিত ছিল, যা ভারতের আগ্রাসনের সঠিক জবাব হিসেবে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: