শুক্রবার

১৬ মে, ২০২৫
১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
১৮ জিলক্বদ, ১৪৪৬

পাকিস্তানের কাছে ভারতের আরও এক পরাজয়

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫ মে, ২০২৫ ২১:২৪

শেয়ার

পাকিস্তানের কাছে ভারতের আরও এক পরাজয়
ছবি: পাকিস্তার ও ভারতের পতাকা।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সম্প্রতি পাকিস্তানের জন্য ১ বিলিয়ন ডলারের ‘বেলআউট প্যাকেজ’ অনুমোদন করেছে, যার তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারত।

ভারত অভিযোগ করেছে, দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এই ঋণ অনুমোদন প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের দাবি, পাকিস্তানের সংশোধনমূলক ব্যবস্থায় অতীত রেকর্ড খুবই দুর্বল এবং এই ধরনের অর্থ সহায়তা কার্যকর নয়।

তবে আইএমএফ জানিয়েছে, পাকিস্তান নির্ধারিত কর্মসূচি অনুসারে অগ্রগতি দেখাতে সক্ষম হয়েছে এবং দেশটিতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি, পরিবেশগত ঝুঁকি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় পাকিস্তানের প্রচেষ্টাকেও তারা সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে।

ভবিষ্যতে আরও ১.৪ বিলিয়ন ডলারের কিস্তি ছাড়ের সম্ভাবনার ইঙ্গিতও দিয়েছে আইএমএফ।

ভারতের উদ্বেগ:

ভারত দুটি প্রধান কারণ দেখিয়ে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে—১. পাকিস্তানের পুনর্গঠনমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নে দুর্বলতা ও ২. আইএমএফের তহবিল সন্ত্রাসবাদে ব্যবহৃত হওয়ার আশঙ্কা—বিশেষত রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসে।

পাকিস্তান অবশ্য বরাবরই সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

ভারত দাবি করেছে, এই সিদ্ধান্ত আইএমএফ ও এর দাতাদের ভাবমূর্তিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে এবং বৈশ্বিক মূল্যবোধকে উপহাস করছে।

আইএমএফ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও, পাকিস্তানের কিছু অর্থনীতি বিশ্লেষক ভারতের কিছু অভিযোগকে যৌক্তিক বলেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে দায়িত্বপালনকারী পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানি বলেন, আইএমএফের কাছে যাওয়ার অর্থ আইসিইউতে (হাসপাতালের ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট) যাওয়ার মতো। একজন রোগী যদি ২৪ থেকে ২৫ বার আইসিইউতে যান, তার মানে কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ ও উদ্বেগ রয়েছে, যা মোকাবিলা করা দরকার।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তান ১৯৫৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৪ বার আইএমএফ থেকে ঋণ নিয়েছে। দেশটির সাবেক রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানি বলেন, এতবার আইএমএফের দ্বারস্থ হওয়া মানে কাঠামোগত সমস্যা রয়েছে, যা সমাধান জরুরি।

ভারতের মতে, আইএমএফ মূলত একটি পদ্ধতিগত ও প্রযুক্তিগত কাঠামোর মধ্যে আবদ্ধ থাকায় এ ধরনের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তাদের ক্ষমতা সীমিত।

সূত্র: বিবিসি

 

 

banner close
banner close