বৃহস্পতিবার

১৫ মে, ২০২৫
১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
১৭ জিলক্বদ, ১৪৪৬

ভারতে মুসলমানদের ২৮০টি ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস করলো মোদী

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫ মে, ২০২৫ ১১:৫৬

শেয়ার

ভারতে মুসলমানদের ২৮০টি ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস করলো মোদী
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের সাত জেলায় অভিযান চালিয়ে মুলসমানদের ২৮০টি ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব ধর্মীয় স্থাপনাগুলো ছিল অবৈধ।

দীর্ঘদিন ধরে ভারতে মুসলিমদের উপর নির্যাতন চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার গুড়িয়ে দেয়া হলো মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিকেও। ভাঙ্গা হয়েছে মাদ্রাসা। বাদ যায়নি আল্লাহর ঘর মসজিদও ।

মূলত নানা উপায়ে ভারতের মুসলিমদের কোণঠাসা করছেন নরেন্দ্র মোদী। মুসলিমরা সংখ্যালঘু হওয়ায় তাদের বাড়িঘর ভাংচুর করা হচ্ছে, গাজার মানুষদের মতো অনাহারে কাতরাচ্ছে শিশুরা। মোদীর চাওয়া ভারতে শুধু হিন্দুরাই থাকবে।

তাই মুসলিমদের জুলুম, নিপীড়ন করেই ক্ষান্ত থাকেননি মোদী, ভারতে যাতে কেউ ইসলামের শিক্ষা গ্রহণ করতে না পারে তাই ভেঙ্গে দিচ্ছেন মাদ্রাসা, আল্লাহর ঘর ভেঙ্গে দিচ্ছেন যাতে মুসলিমরা তাদের ধর্ম পালন করতে না পারে ।

যে জেলাগুলোতে অভিযান চালানো হয়েছে, সেগুলো হলো, মহারাজগঞ্জ, সিদ্ধার্থনগর, বলরামপুর, শ্রাবস্তী, বাহরাইশ, লাখিমপুর খেরি এবং পিলভিট। এই জেলাগুলো ভারত-নেপাল সীমান্তের নিকটবর্তী।

ধ্বংস করা স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ২২৫টি মাদ্রাসা, ৩০টি মসজিদ, ২৫টি মাজার এবং ছয়টি ঈদগাহ। রাজ্য প্রশাসনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে এই স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল।

গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু-কাশ্মির রাজ্যের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় হামলা চালিয়ে ২৬ পর্যটককে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত এই পর্যটকদের সবাই পুরুষ এবং অধিকাংশই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে । পরে পাকিস্তান একে ভারতের সাজানো নাটক বলে অভিহিত করে। এর নাম দেয় ফলস ফ্লাগ ।

তবে বিশ্লেষকদের দাবী ভারত মূলত ওয়াকফ আইন প্রণয়ন সহ বিভিন্নভাবে মুসলিম নিধনের পায়তারা করে আসছিল। কোনো ভাবেই তারা সফল না হয়ে শেষ পর্যন্ত কাশ্মীরে হামলার নাটক সাজিয়ে মুসলিমদের উৎখাত করার মিশনে নামে । ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের মধ্যেই মুসলিমদের ঢালাওভাবে নির্যাতন করতে থাকে দেশটি ।

ভারতের কেন্দ্র ও উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকারে আসীন বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে অবৈধ ধর্মীয় স্থাপনাগুলো ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

banner close
banner close