মঙ্গলবার

১৩ মে, ২০২৫
৩০ বৈশাখ, ১৪৩২
১৬ জিলক্বদ, ১৪৪৬

জনরোষে ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে শুভেন্দু অধিকারী ও ময়ূখ রঞ্জন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩ মে, ২০২৫ ১৬:০৮

শেয়ার

জনরোষে ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে শুভেন্দু অধিকারী ও ময়ূখ রঞ্জন
ছবি: শুভেন্দু অধিকারী ও ময়ূখ রঞ্জন

‘থাকবে না বাংলাদেশ থাকবে না’ একটি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের পর্দায় এমন উদ্ভট মন্তব্য করা ভারতীয় মলম বিক্রেতা হকার সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আর বাংলাদেশসহ মুসলমানদের নিয়ে নানা সময় কটাক্ষ করা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী দাড়ি গোঁফ রেখে আত্মগোপনে চলে গেছে, এমনটিই বলছেন ভারতীয় সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী। ভারতজুড়ে হিন্দু-মুসলমান বিভেদ তৈরি ও প্রোপাগান্ডা ছড়ানো ময়ূখ আর শুভেন্দু বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে জনতার রোষানলে পড়ে। তাদের উদ্ভট কথাবার্তা আর আচরণে অতিষ্ট হয়ে স্বয়ং ভারতীয়রাই আন্দোলনে নেমেছে রাস্তায়।

ভারতীয়রা সামাজিক মাধ্যমে ময়ূখ আর শুভেন্দুকে নিয়ে দিচ্ছেন নানা রকমের তথ্য। পূজা শর্মা নামের এক ভারতীয় নাগরিক তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ভয়ে আমাদের সামনে আসছে না ময়ূখ দাদা! আজ তাকে বোরকা পড়ে পালিয়ে যেতে দেখলাম রিপাবলিক বাংলার সামনে। ভাগ্যিস বোরকাটা পড়েছিলো না হলে তো গণধোলাই খেতো।’ বিজয় কুমার নামের আরেক ভারতীয় লিখেছেন, ‘ময়ূখ রঞ্জনের প্রোপাগান্ডায় অতিষ্ট হয়ে আর ঘরে বসে থাকতে পারলাম না। ও কি সাংবাদিক নাকি আস্ত একটা হকার? রিপাবলিক বাংলা টিভিও বা কেমন? ওর মত এক বলদকে রেখেছে উপস্থাপনা করতে?’

অপরদিকে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কয়েল রাণী নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কসাই মোদির দলের নেতা শুভেন্দুকে দেখলাম দাড়ি গোঁফ রেখেছে, আর বাজারে সাধারণ মানুষের মত হেটে যাচ্ছে। পালিয়েছে আগে জানলে ধরে তো গণধোলাই দিতাম। এসব পাগল ছাগল আবার নেতা হয় কি করে?’ অভিজিৎ নামের আরেকজন শুভেন্দুর একটি ভিডিও পোষ্ট করে লিখেছেন, ‘যখন তখন বলেন পাকিস্তানকে গাজা বানাবেন, কৈ এবার হলো তো? যুদ্ধ করে কি লাভ হলো ক্ষতি ছাড়া? মুসলমানদের নিয়ে কটাক্ষও করেন আপনি মাঝেমধ্যে। ভারতবর্ষ শুধু হিন্দুদের নয় সবার। এখানে হিন্দু মুসলিম সবাই থাকবে, তোমার না পোষালে তুমি ইসরায়েলে চলে যেতে পারো। কিন্তু এরপর আর মুসলিমদের নিয়ে কিছু বললে তোমাকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

সম্প্রতি পুরো পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা জুড়ে ময়ূখ আর শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবীতে রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছে সাধারণ মানুষ। যাদের মধ্যে ভারতীয় হিন্দুধর্মাবলম্বীর সংখ্যাই বেশি। ভারতীয় বিজেপি সরকারের দালালী করা রিপাবলিক বাংলা টেলিভিশন অফিসের মূল ফটকেও হচ্ছে আন্দোলন। আন্দোলনকারীদের দাবী টেলিভিশনটি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকে নিয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছাড়ায়। সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধকেও উস্কে দিয়েছিলো এটি এমনটিই দাবি তাদের। আর এসবের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে তারা ময়ূখ রঞ্জনের কথা বলে আসছেন বারবার।

অন্যদিকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীও নানা সময় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে নিয়ে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে আসছে। আন্দোলনকারীদের দাবী সে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা লাগানোর পায়তারা করছে। তাকেও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী আন্দোলনের অংশ নেওয়া সাধারণ ভারতীয়দের। যদিও এই আন্দোলন শুরুর পর থেকেই শুভেন্দু আর ময়ূখ রঞ্জনকে হারিকেন জ্বালায়েও পশ্চিমবঙ্গের কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলেই জানাচ্ছেন ভারতীয়রা।

banner close
banner close