
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর জম্মু-কাশ্মিরসহ সব সীমান্ত এলাকায় সেনা উপস্থিতি কমাতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ভারত ও পাকিস্তান। সোমবার দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্স বিভাগের প্রধান (ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন্স-ডিজিএমও) পর্যায়ের বৈঠকে গৃহীত হয়েছে এ সিদ্ধান্ত।
বৈঠক সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক ডন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দুই দেশের ডিজিএমও পর্যায়ের বৈঠকের নির্ধারিত সময় ছিল সোমবার দুপুরে। কিন্তু পরে সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়। পরিবর্তিত সময়সূচি অনুযায়ী সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বৈঠকে বসেন পাকিস্তানের ডিজিএমও মেজর জেনারেল কাশিফ আবদুল্লাহ এবং ভারতের ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই। সেখানেই সেনা উপস্থিতি হ্রাসের ব্যাপারে একমত হন তারা।
প্রায় ৪৫ মিনিট স্থায়ী হয় এ বৈঠক। বৈঠক শেষে এ সম্পর্কে কোনো বিবৃতি দেয়নি ভারত কিংবা পাকিস্তান কেউই।
তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আপাতত জম্মু-কাশ্মির এবং ভারত-পাকিস্তানের অন্য সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এবং পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী রেঞ্জার্স। সীমান্তে সেনাবাহিনীও থাকবে, কিন্তু সংঘাত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হলে তারা সামনে আসবে না।
আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে দুই দেশের সীমান্তরেখার ১ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো হেলিকপ্টার ও ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো যুদ্ধবিমান প্রবেশ করবে না।
পেহেলগাম হামলাকে ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজনা এবং তার জেরে ৭ মে থেকে ১০মে পর্যন্ত সংঘাত চলার পর যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশ। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর এই প্রথম ভারত-পাকিস্তানের সামরিক পর্যায়ের বৈঠক হলো।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জানিয়েছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফের দুই দেশেল ডিজিএমও পর্যায়ে বৈঠক হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু-কাশ্মির রাজ্যের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় হামলা চালিয়ে ২৬ জন পর্যটককে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। নিহত এই পর্যটকদের সবাই পুরুষ এবং অধিকাংশই হিন্দু ধর্মাবলম্বী।
আরও পড়ুন: