শুক্রবার

৯ মে, ২০২৫
২৬ বৈশাখ, ১৪৩২
১২ জিলক্বদ, ১৪৪৬

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৯ মে, ২০২৫ ১২:১৭

শেয়ার

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। ছবি: সংগৃহীত

পেহেলগামের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ভারতের বিমান হামলাকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে। ওই বিমান হামলায় পাকিস্তানের অন্তত ৩১ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়। এমন পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।

শুক্রবার  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। বলেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন যে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা প্রকাশ্য সংঘাতে পরিণত হতে পারে।’

পাকিস্তানের প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি আমাদের প্রাণ হারানো ভাইদের জন্য আল্লাহর রহমত প্রার্থনা করছি এবং আমি পাকিস্তানের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণ ও সরকারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাচ্ছি।’

তুর্কি নেতা আরও উল্লেখ করেছেন, পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য তিনি বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সাথে ফোনে কথা বলেছেন। তিনি ভারতের অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে (আইআইওজেকে) সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্তের জন্য ইসলামাবাদের প্রস্তাবের প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি এটিকে একটি "মূল্যবান" পদক্ষেপ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘যেখান থেকে আর ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছানোর আগে উত্তেজনা কমাতে এবং সংলাপের পথ খোলার জন্য তুরস্ক যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।’

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ড্রোন হামলা ও পাল্টাপাল্টি গুলি বিনিময়ের মধ্যেই এরদোগানের এই বিবৃতি আসলো। এর আগে, নয়াদিল্লিকে সতর্ক করে দিয়ে পাকিস্তান জানায়, ভারতের যেকোনো দুঃসাহসিক কাজের প্রতিশোধ এতটাই নির্ণায়ক এবং তীব্র হবে যে পুরো বিশ্ব তার প্রতিধ্বনি শুনতে পাবে এবং এর জন্য কোনও ঘোষণার প্রয়োজন হবে না।

ইসলামাবাদ জানিয়েছে, মসজিদ থেকে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প পর্যন্ত মোট ছয়টি পাকিস্তানি স্থান লক্ষ্যবস্তু করে মঙ্গলবার মধ্যরাতে হামলা চালায় ভারত। পাঞ্জাবের আহমেদপুর পূর্ব, মুরিদকে, শিয়ালকোট ও শক্করগড় এবং আজাদ কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদ ও কোটলিতে ভারত বিনা উসকানিতে ও কৌশলে হামলা চালালে শিশুসহ কমপক্ষে ৩১ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত এবং ৫৭ জন আহত হন।

প্রতিশোধ হিসেবে, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী পাঁচটি ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) যুদ্ধবিমান, সাতটি ড্রোন ভূপাতিত করে। নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর এবং বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট ধ্বংসেরও দাবি করে ইসলামাবাদ।

banner close
banner close