
ভারতে পাল্টা হামলা শুরু করেছে পাকিস্তান। এনডিটিভি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধার দিকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট উড়ে এসেছে ভারত সীমানায়। রাজস্থানের জয়সলমীর এবং সীমান্তবর্তী অন্যান্য শহরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এরপরেই দেশজুড়ে ২৪টি বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করেছে ভারত সরকার।
ইন্ডিয়া টিভির খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের চালানো মিসাইল ও ড্রোন হামলার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় দেশজুড়ে ২৪টি বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বেসামরিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। তবে কতদিন এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে তা এখনো জানানো হয়নি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধার দিকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেটে উড়ে এসেছে ভারত সীমানায়। এসময় পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং জম্মু ও কাশ্মীরের শহরগুলিতে বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে এবং বেসামরিক ও সামরিক অবকাঠামো রক্ষার জন্য সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউটের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বেসামরিক বিমান চলাচল নিরাপত্তা ব্যুরো (BCAS) দেশের সব এয়ারলাইন্স এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তা আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে। সব যাত্রীকে বোর্ডিংয়ের আগে "সেকেন্ডারি ল্যাডার পয়েন্ট চেক" (SLPC) পদ্ধতির মাধ্যমে পরীক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, বিমানবন্দর চত্বরে প্রবেশের সময় যানবাহন ও যাত্রীদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করা হবে এবং যাত্রীদের লাগেজ সূক্ষভাবে স্ক্যান করা হবে। এছাড়াও, বিমানবন্দরে ভিজিটরদের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুসারে এয়ার মার্শালদেরও মোতায়েন করা হচ্ছে।
বিসিএএস-এর এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘পহেলগামের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা ও পরবর্তীতে দেশে সৃষ্ট নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে, সব ধরনের বিমান চলাচল সংক্রান্ত স্থাপনায়—যেমন বিমানবন্দর, এয়ারস্ট্রিপ, এয়ারফিল্ড, বিমানঘাঁটি, হেলিপ্যাড, ফ্লাইং স্কুল ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে—উচ্চমাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।’
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনার জেরে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ২৪টিরও বেশি বিমানবন্দরে বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একাধিক রাজ্যে স্কুল বন্ধ, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ব্ল্যাকআউট এবং পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, ‘পাকিস্তান প্রথমে হামলা চালিয়েছে, আমরা কেবল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি। পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। আমরা শুধুমাত্র ২২ এপ্রিল পহেলগামের সন্ত্রাসী হামলার জবাব দিয়েছি।’
তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে কারণ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পাকিস্তান জম্মু ও ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা গুলোতে ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: