
পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও গুলিবর্ষণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ৫৭ জন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসির
‘অপারেশন সিঁদুর’ নাম দিয়ে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার পর পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থাপনায় এই হামলা চালায় ভারত।
এর আগে হামলায় ২৬ জন নিহত ও আহত অনেকের হওয়ার খবর জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ১৫ ভারতীয় নাগরিকের প্রাণহানি ও বেশ কয়েকজন আহত হন বলে জানায় ভারত।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, তারা এসব হামলা চালিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী লস্কর-ই-তায়েবা (এলইটি) ও জইশ-ই-মোহাম্মদের (জেইএম) প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা বলেছে, পাঞ্জাবের ভাওয়ালপুরে জেইএমের ঘাঁটি এবং একই প্রদেশের মুরিদকে শহরে এলইটি’র আস্তানাসহ নয়টি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে তারা।
অবশ্য পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর তথ্যমতে, পাকিস্তানের ছয় স্থান—পাঞ্জাবের শিয়ালকোট, ভাওয়ালপুর ও মুরিদকে এবং পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফ্ফারাবাদ, বাগ ও কোটলিতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।
এদিকে ভারতের হামলার পর পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করা হয়েছে। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানান, এর মধ্যে তিনটি ফ্রান্সের তৈরি রাফাল, একটি রাশিয়ার তৈরি সু-৩০ ও অন্যটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান। সু-৩০ ও মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান সোভিয়েত আমলে তৈরি।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী জানায়, দেশটির মাটিতে আক্রমণে অংশ নেওয়ার পরই ওই পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার মাধ্যমে ভারতের হামলার জবাব দিয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। তবে পাকিস্তানের এ দাবির বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কিছু নিশ্চিত করা হয়নি।
অন্যদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতেই নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে (এলওসি) পাকিস্তানি সেনারা গোলাবর্ষণ করেছে। এতে ১৩ ভারতীয় নাগরিক নিহত হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এখন তা পাল্টাপাল্টি হামলায় রূপ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: