
পাকিস্তানের ৯টি স্থানে হামলা চালিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার মধ্যরাতে সুনির্দিষ্টভাবে সেসব এলাকায় হামলা হয়। পরে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বিবৃতিতে বিস্তারিত জানান।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি ‘সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে’ সুনির্দিষ্টভাবে হামলার দাবি করেছে ভারত। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণ ছিল এটি। এ হামলার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর।’
ভারত পাকিস্তানের যেসব এলাকায় হামলা করেছে তা হলো- বাহাওয়ালপুরের মারকাজ সুবহান আল্লাহ, মুরিদকে-এর মারকাজ তৈয়বা, সরজল (তেহরা কালান), মেহমুনা জয়া সুবিধা (শিয়ালকোট), মারকাজ আহলে হাদীস বরনালা, ভিম্বার মারকাজ আব্বাস (কোটলী), মাসকার রাহিল শহীদ (কোটলী), মুজাফফরাবাদে শাওয়াই নালা ক্যাম ও মারকাজ সৈয়দনা বিলাল-৩।
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে তৈরি উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তানের ৯টি শহরে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। জবাবে পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানও। পাকিস্তান বিমানবাহিনীর পাল্টা হামলায় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান, একটি ড্রোন এবং একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পেহেলগামে হামলার প্রতিক্রিয়ায় তারা ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করেছে।এর আওতায় পিওকে এবং পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে অবস্থিত সন্ত্রাসবাদী শিবিরগুলিতে নিখুঁত হামলা চালানো হয়েছে। এই পদক্ষেপ পেহেলগামে ২৬ নিরীহ নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
ভারত সরকার জানিয়েছে, এই সামরিক পদক্ষেপ ছিল নির্ভুল, পরিমিত ও অ-উত্তেজনামূলক এবং এতে কোনো পাকিস্তানি সেনা স্থাপনাকে লক্ষ্য করা হয়নি।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে হামলা-পাল্টা হামলার উত্তেজনা ছড়িয়েছে সীমান্তেও। পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি ও মর্টার হামলা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: