
পাকিস্তানে চালানো ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক হামলার নিন্দা জানিয়েছে আজারবাইজান। পাকিস্তানে চালানো এই হামলায় অন্তত ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং বহু মানুষ আহত হওয়ার ঘটনার পর আজারবাইজানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আজ বুধবার (৭ মে) আজারবাইজানি সংবাদমাধ্যম ক্যালিবার.এজ এই খবর জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার আরও বৃদ্ধি নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমরা পাকিস্তানে চালানো সামরিক হামলার নিন্দা জানাচ্ছি, যেখানে বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছেন।”
আজারবাইজান পাকিস্তানের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে জানায়, “আমরা পাকিস্তানের জনগণের পাশে আছি। নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উভয় দেশকে সংযম দেখাতে এবং কূটনৈতিক পথেই সংকটের সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৬ ও ৭ মে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ঘটে যাওয়া একাধিক সামরিক সংঘর্ষ ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। ৭ মে ভোররাতে ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালায় ভারত। পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে চালানো এই বিমান হামলার লক্ষ্য ছিল লস্কর-ই-তইবা, জয়েশ-ই-মুহাম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদীনের ঘাঁটি বলে দাবি করেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এই অভিযানে ফরাসি রাফালে যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয় এবং এসসিএএলপি ও এএসএএসএম হ্যামার প্রিসিশন গাইডেড মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়। ২৩ মিনিট স্থায়ী এই অভিযানে অন্তত নয়টি স্থানে হামলা চালানো হয়, যার মধ্যে ছিল বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, কোটলি, মুজাফফরাবাদ এবং শিয়ালকোট।
অন্যদিকে, পাকিস্তান এই হামলাকে “উস্কানিমূলক এবং প্রকাশ্য আগ্রাসন” বলে আখ্যা দিয়েছে। তাদের দাবি, হামলায় নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মসজিদ এবং আবাসিক এলাকা।
পাল্টা জবাবে পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা পাঁচটি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করেছে এবং ভারত-শাসিত কাশ্মীরে একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস করেছে।
আরও পড়ুন: