
ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে পাঞ্জাব প্রদেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফ । বুধবার এক জরুরি ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে। ছাড়া চিকিৎসা ও জরুরি সেবাসমূহকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
মরিয়ম বলেন, ‘সব চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
সিভিল ডিফেন্সের সদস্যদেরও কাজে ফেরত আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ তিনি হাসপাতাল ও উদ্ধারকারী সংস্থাগুলোকে ‘হাই অ্যালার্টে’ থাকার নির্দেশও দিয়েছেন।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে, ভারতীয় বাহিনী বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে এরপরেই এই ঘোষণা এমন সামনে এসেছে। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছেন, হামলাগুলো ছিল সম্পূর্ণভাবে বেসামরিক এলাকার লক্ষ্য করে।
কোনো সামরিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এর জবাবে পাকিস্তান দ্রুত পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) দুধনিয়াল সেক্টরে ভারতের একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর এবং একটি সামরিক পোস্ট ধ্বংস করেছে বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান বিমান বাহিনী ভারতের তিনটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। যদিও পাকিস্তান বলছে তারা ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।
ভারতের আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম বলেন, ‘পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পাশে জনগণ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ভারত এটা শুরু করলেও, শেষ আমরা করব।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, তবে সম্মানের সঙ্গে। সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস নয়। যদি যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়, পুরো জাতি এক শক্তি হিসেবে জবাব দেবে।
চলমান সংকটে জনগণকে ঘরের ভেতরে থাকার এবং অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। সেই সঙ্গে তিনি অনুরোধ করেন লোকজন যেন শুধু সরকারি সূত্র থেকে তথ্য গ্রহণ করে এবং যেকোনো আহত বা জরুরি অবস্থা নিকটস্থ হাসপাতাল বা উদ্ধার সংস্থাকে জানায়।
সূত্র : দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
আরও পড়ুন: